//লিখে রাখা, নাকি মনে ধরে রাখা//


লিখে যা রাখিনি, তা নেই খাতায়
পরে যে পড়ব, সুযোগ কোথায়!
যা নেই খাতায়, হারিয়ে কী গেছে!
হারাতেও পারে এ কী বলা যায়!


সব কিছু লিখে রাখা যায় নাকি!
যদি রাখা যেত, খাঁচাতেই পাখী
উড়িয়ে দিতাম ইচ্ছা মতন
দিতেও হতো না মনটাকে ফাঁকি।


মনে রাখবার কী যে প্রয়োজন!
পাখী উড়ে যাবে, এ তো সাধারণ
ঘটনাগুলো কী পাখীসম হবে!
বলা বাহুল্য এ বলা বারণ।


কাগজ কলম যদি এক করি
ববুঝতেই পারি লেখাও জরুরী
ভবিষ্যতের কথা মনে রেখে
লেখা হয়ে যায় অতি দামী কড়ি।


জীবন মানেই লেখা বলব না
পড়তেই হবে, তাও মানব না
জীবনে লাগবে বাঁচার সাধন
লেখার ভূমিকা কিছু কী হবে না!


যেদিন জন্ম, একটি তারিখ
লেখা হয়ে থাকে তারিখটা ঠিক
যাঁর জন্ম সে লিখে তো রাখে না
সেই লেখে যাঁর ভাবনা অধিক।


লিখে রাখলে কী হয়ে যাবে স্থায়ী!
এমন ধারণা হয় না তো জয়ী
কিচ্ছুই নেই স্থায়ী পৃথিবীতে
স্থায়ীর হিসেবে কিছু দিন দায়ী।


কাগজ কলম যখন ছিল না
কেউ করত না লেখার ধারণা
তখনও জীবন বেশ তো চলত
প্রমাণ অনেক, ভেবনা বাহানা।


আজকে লভ্য কাগজ কলম
লেখার ধারণা কার কি রকম!
ধারণা স্বাধীন মনের ব্যাপার
ধারণা বদলে যায় হরদম।


লিখে রাখা যায়, মনে রাখা যায়
কোনটা যে হবে ভালো তুলনায়!
অনেক ভেবেছি, আর কী ভাবব!
লেখা বা না লেখা নিজ ভাবনায়।


সুবীর সেনগুপ্ত