আজকেও এসেছিল সুনির্মল
আসবেই তো, রোজ আসে
আমরা যে অন্তরঙ্গ বন্ধু
দুজনে দুজনের সান্নিধ্যে না আসলে
সম্পূর্ণ হয় না আমাদের দিন|


সুনির্মল এসেছিলো
কড়া নাড়িয়েছিল তিন-চারবার
তারপর উচ্চৈঃস্বরে বলেছিল
'নির্মল, আমি যাচ্ছি'|
অদ্ভুদ মিল আমাদের নামের মধ্যে,
তাই না!
এক মিনিটের মধ্যেই
উন্মুক্ত করেছিলাম রুদ্ধ দ্বার
সুনির্মলকে পাইনি|


বাধ্য হয়েছিলাম ভাবতে
কি সেই কারণ
যেটা বাধ্য করেছিল
সুনির্মলকে অপেক্ষা না করতে!


ভাবতে পারিনি আর
কিন্তু ভাবনা ফিরিয়ে এনেছিল
সুনির্মলের আত্মঘাতী হওয়ার খবর,
দুপুরের ঠিক পরে|


কেন! কেন! কেন!
একজন সত্যবাদী শিক্ষক
জীবন থেকে কেন মুক্তি চাইলো!
বেশীক্ষণ খুঁজতে হয়নি এর উত্তর
উত্তরটা সুনির্মল নিজেই দিয়ে গেছে|


লিখে গেছে চিরকুটে
"নির্মল, তুমি কিছু চেয়েছিলে
আমার কাছে প্রথমবার, যা আমি
দিইনি বা দিতে পারিনি, অথচ
অসংখ্যবার তুমি আমার চাওয়া
পূর্ণ করেছো| কখনো ফিরিয়ে দাওনি|
প্রকৃত বন্ধু না হতে পাড়ার বেদনা
আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে|
এ জীবন রাখার অধিকার নেই আমার,
তাই চললাম| ক্ষমা কোরো, ভালো থেকো"|
  
(কোথাও পড়েছি, কোনো আচার্যের লেখা-
(প্রকৃত বন্ধুর স্থান স্ত্রী বা স্বামীর থেকেও উপরে|
এই উক্তিই এই লেখার প্রেরণা| )


অন্তরঙ্গ বন্ধু