//প্রকাশ, বিকাশ এবং উদ্ঘাটন//


প্রকাশ হলে, তবে আসবে প্রকাশ্যে
তখনই সত্য হয়ে মিশবেই বাতাসে
যখন প্রকাশ হয়নি, কোনো মানে নেই
না জানলে, সব আলোচনা যাবে শুন্যেই।


প্রকাশ করার আছে অনেক উপায়
কোনটাকে বেছে নিয়ে প্রকাশের জয়!
বাছাবাছি কাজে অধিকার প্রকাশকের
যাই বেছে নিক, অন্তে প্রকাশ হয়ে যায়।


কী প্রকাশ আর কেন প্রকাশের প্রশ্ন!
প্রকাশ না করে হয়না কী ঠিক যত্ন!
যত্ন হয়না, ঠিক তা তো বলা যায় না
একার যত্নে তাও হতে পারে রত্ন।


লেখা প্রকাশের কথা যদি উঠে যায়
বলবই তবে থাক প্রকাশের প্রবণতা
রূপ প্রকাশের প্রবণতা কেন হবে না!
হলেও কিন্তু সকলে দেবে না মান্যতা।


সূর্য প্রকাশে উজ্জ্বল হয় ধরিত্রী
চন্দ্র প্রকাশে পাই জ্যোৎস্নার আলো
আলোর প্রকাশে কালো দূরে সরে যায়
জ্ঞান প্রকাশেই জানা যায় কী কী ভালো।


মনের প্রকাশ করে লিখলেই কবি
কিংবা লেখক, তাও হয়ে যেতে পারে
বই প্রকাশিত হয় বলেই তো পড়ে ফেলি
শুধু কি প্রকাশ! যেতে কী হয়না প্রচারে!


যা কিছুই বলি, যা কিছু করতে হয়
সব কিছুতেই প্রকাশের আছে প্রয়োজন
শিশুর রোদন প্রকাশেই জানি বেদনা
সামনে আসবে সব করে আবরণ মোচন।


প্রকাশ বিকাশ এবং উদ্ঘাটন
তাৎপর্যময় জীবনে চলার পথে
সকলেই করে কিছু না কিছু প্রকাশ
ক্ষণে ক্ষণে হয়ে চলেছে প্রকাশ ধরাতে।


সুবীর সেনগুপ্ত