//প্রসঙ্গ আর প্রেক্ষিত//

বসে আছে, আমি কী করে বলব দাঁড়িয়ে!
যদি শুয়ে থাকে, বলবই আছে শুয়ে।

কথা হতে হবে ঘটনারই প্রেক্ষিতে
তা না হলে কথা মান্যতাহীন অর্থে।

প্রেক্ষিত ছাড়া কখনো কী কথা হয়!
হতে পারে, যদি কথাগুলো হয় আড্ডায়।

নিজের সঙ্গে নিজে যদি কথা বলি
তখন কিন্তু প্রেক্ষিত পড়ে ঠুলি।

কথা বলি নাকি শুধুই নিজের খাতিরে!
পর ইচ্ছাতে বহু কথা গ্রামে শহরে।

সৌজন্যতা না রাখলে নয় কথায়
কথা কলহের কারণ যেন না হয়।

প্রভূত ভাষায় ভূবনে অনেক গ্রন্থ
এও জানি তাতে শব্দ সংখ্যা অনন্ত।।

একই শব্দের পুনরাবৃত্তি হয়ে যায়
তা হলেও রোজ নতুন কবিতা লেখা হয়।

নিদ্রাতে ডুবে সকলেই কথা বলি
সেই সব কথা নিয়ে নেই দলাদলি।

স্বপ্নের কথা অচিরে হারায় ঠিকানা
প্রেক্ষিত সেই সময়ে কেবল বাহানা।

আলোচনা শেষে কথার কোথায় স্থান!
বলা কথাগুলো শেষে দুর্বল তান।

কথা সজ্ঞানে, কথা অজ্ঞানে হচ্ছে
যখনই হোকনা, কথা মানে খুঁজে পাচ্ছে।

প্রসঙ্গ নেই, সাধারনভাবে কথা নেই
কথা হয়ে গেলে, কথা সাধারণ থাকবেই।

জনতার ভীড়ে কথার নেই কদর
গালাগালি কথা পেয়ে যায় অনাদর।

প্রসঙ্গ আর প্রেক্ষিত খুব মূল্যবান
মনে রাখলেই, কথা হয়ে যায় দান।

কথার পিছনে কথা আসবেই ছুটে
সেই কথা দেবে হয় খুশী নয় ব্যথা।

ভাষণে কথার থাকলেও প্রেক্ষিত
সেই কথা শুনে শ্রোতা পায় নাকি জিত!

চোখ যা দেখবে, সেই মতো কথা বলবে
তেমন না হলে, কথা নিরর্থ হবে।

কথা যত হবে নির্ভীক সঙ্গত
শুনতে চাইবে মানুষ অবিরত।

কথা আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী
যুক্তি কারণ নিয়েই হবে বিহঙ্গী।

সুবীর সেনগুপ্ত