//রূপ নেই, তবু মনই সত্য//
মনটাকে খুলে দেখাতে পারলে
মুখ দিয়ে আর বলতে হত না
চোখ দিয়ে দেখে সবাই বুঝত
বলা কথাগুলো, ভুল কী ভুল না!
দেখানো যায় না মনটাকে, তাই
বোঝাতেই হয় কাজ ও কথাতে
কাজ ও কথায় ছন্দ কাটেই
ভুল বোঝাবুঝি এসে যায় সাথে।
বাক্সে ঝুলিতে কিছুতে মোড়ানো
জিনিস থাকলে, খুলতেই হবে
না খুলে না দেখে, জানা অনুমান
অনুমানে ভুল সামনে আসবে।
মানুষের মন থাকে কি বন্দী!
জানা যায় নাকি কোনো প্রকরনে!
কেউ যদি বলে, শরীরে বন্দী
মানা যায় নাকি কোনোই প্রমাণে!
শরীরের মাঝে মনটার স্থিতি
এর সত্যতা কিছুটা তো মানি
এমনও তো হয় শরীর উদাস
মনটা তখন কোথায় কি জানি!
শরীরের মাঝে, মেনে নেওয়া হলে
মনটা তো হবে একটি অঙ্গ
ক্ষুদ্র বৃহদ যা কিছু শরীরে
অঙ্গ হয়েই দেয় যে সঙ্গ।
কত অঙ্গের কাজ থেমে যায়
বদলানো হয় শরীর চালাতে
মন এর বেলায় তেমন কি হয়!
অজ্ঞ যে, তাই চাইছি জানতে।
অঙ্গে অঙ্গে ভরা এই শরীর
সব অঙ্গের রূপ রেখা আছে
মনের আকার ও রূপ কীরকম!
কে সেই ভাগ্যবান, যে জেনেছে!
আকার বা রূপ, কোনো কিছু নেই
মন যে আছেই, এ ধ্রুব সত্য
শুধু থাকা নয়, কাজও করছে
আমরা সবাই, মন এ আসক্ত।
অন্যের মনে যায় না তো ঢোকা
মন দেয়া-নেয়া বই সিনেমাতে
মনটাকে খুলে দেখানো যায় না
বাঁচতেই হবে শুধু ধারণাতে।
সুবীর সেনগুপ্ত