ভাব কম ছিল, ছিল বেশী কথা
অল্প ভাবেই, ছিল ভরা খাতা
সাধারণ কথা, তাও তো পড়েছি
কেন লিখেছিল! সেটাও ভেবেছি|
লিখেছিল, গাড়ী চলে রাস্তায়
রাতের যে ঘুম, হয় বিছানায়
কাকগুলো ডাকে কর্কশ সুরে
কেঁচো উঠে আসে, মাটি ফুঁড়ে ফুঁড়ে|
অনেক শব্দ, ছিল সে খাতায়
সংখ্যাও ছিল, প্রতিটি পাতায়
তিনশ পৃষ্টা, লেখা কি সহজ!
কি যে ছিল তার, লেখার গরজ!
জলে ভিজলেই, ধুলো হয় কাদা
বড় ভাই হলে, হয়ে যায় দাদা
এ সব লেখার. মানে একটাই
মনে হয়, এতে ভাব বেশী নেই|
ভাবহীন কথা, লেখা কি যায় না!
লিখে, সাহিত্য মানা কি যায় না!
লিখেছে 'রাস্তা', 'সরণী' কোথায়!
'বাতাস' লিখেছে, 'সমীরণ' নয়|
চলতি শব্দ, লেখার আহারে
যত পড়ি, সব আসে ঘুরে ফিরে
ভাবতে হয় না, বোঝার জন্য
তার এ লেখা কি, কেবলি গৌণ!
'ভুল'কে করেনি, কখনোই 'ত্রুটি'
'উভয়' হয়নি, ভুল করে 'দুটি'
'রাত্রি' যায়নি, কখনো 'নিশীথে'
'অন্ন' শব্দ,আসেনিও 'ভাতে'|
এরকম লেখা, কেন কেউ লেখে!
কত যে সময়, এতে গেছে ঢেকে!
সহজ সরল, তবুও পড়েছি
আবার আবার, পড়তে চাইছি|
ভাব আছে কম, তবুও ভাবায়
সাধারণ কথা,অনেক জানায়
লেখার কারণ, যদিও জানিনা
এ লেখাকে মান, দিতেও ছাড়ি না|
সাধার লেখা, মানের যোগ্য|