সূর্য্যটা ডেকে বললো আমায়
দিয়েছি তো রোদ, মাখছ না কেন!
বললাম আমি, দিয়েছ তো রোদ
মাখার মনটা দাওনি, তা জেনো|


সূর্য্য বললো, আমার কাজ তো
শুধু রোদ দেওয়া, মন দেওয়া নয়
বললাম আমি, চুপ করে থাকো
মাখি বা না মাখি, তোমার কি যায়!


সূর্য্য বললো, মাখলেই ভালো
এটাও তোমার মাথায় কি নেই!
বললাম আমি, নিশ্চয়ই জানি
তুমি কেন এত বিচলিত ভাই!


সূর্য্য বললো, কেন শুধু শুধু
দুটো কথা তুমি, আমাকে শোনাও!
বললাম আমি, তুমি কি অন্ধ!
মাখছে তো কিছু, দেখে খুশী হও|


সূর্য বললো, কিছু কেন হবে!
তাদের সঙ্গে তুমিও যাও না!
আমি বললাম, কেন পড়ে আছো
আমার পিছনে, এবার ছাড়োনা!


সূর্য্য বললো, তুমি তো বললে
মাখাটাই ভালো, বলো ঠিক কিনা!
আমি বললাম, ঠিকই শুনেছ
মাখতে তো চাই, মনটা মানে না|


সূর্য্য বললো, আবার বলছি
রোদটা মাখাই, খুব প্রয়োজন
আমি বললাম, ভয় দেখাচ্ছ!
না মেখেও বেশ, চলছে জীবন|


সূর্য্য বললো, কি যে বলো তুমি!
ভয় কেন আমি, যাবই দেখাতে!
আমি বললাম, তা যদি না হয়
আমাকেই কেন, বলছো মাখতে!


সূর্য্য বললো, বলি সবাইকে
তাই তো দিচ্ছি, এত এত রোদ
আমি বললাম, এবার বুঝেছি
আর করব না, তোমার বিরোধ|


আর তো ডাকেনি, সূর্য্য আমায়
আমিও মানছি, সূর্য্যের কথা
রোজ না হলেও, করি হাঁটাহাঁটি
মাথার উপরে নিই না ছাতাটা|


রোদ গায়ে মেখে, আমি ঝরঝরে
মনটা সতেজ, শরীর নীরোগ
মনে মনে আমি, বলি সূর্য্যকে
তুমি ছিলে, তাই করছি এ ভোগ|