//ত্যাগ আর পরিত্যাগ//


উর্দ্ধে ছুঁড়লে, আসবেই ফিরে অধতে
অবাক হয় না, কেউ এই ঘটনাতে।


ছুঁড়ে দিলে কোনো কিছু, আর এক দিকে
ফিরে আসবে না, ধরাও দেবে না চোখে।


ছুঁড়তে ছাড়তে, দুটোতেই অধিকার
তবে অধিকারে, জোড়া আছে কারণের তার।


ছোঁড়ার কারণ, জানতে আমার রুচি নেই
মেনেও নিয়েছি, এই কাজে কোনো শোভা নেই।


ছোঁড়া আর ছাড়া, এক পাতে দেওয়া অন্যায়
ছোঁড়া ভুল, সেটা মানলেই হয়ে যাবে ন্যায়।


এটা ওটা সেটা, ছাড়া যায় কোনো কারণে
সকলেই ছেড়ে দেয় কিছু, কোনো প্রয়োজনে।


যাকে ছেড়ে দিই, যেটা ছেড়ে দিই জীবনে
ফিরে আসে নাকি, আগামীর কোনো দিনে!


ফিরে আসবার আশা নিয়ে, ছাড়া হয় না
ফিরে আসবেই, সে কথাও ভাবা হয় না।


যা কিছুই ছাড়ি, যায় না উর্দ্ধ গগনে
যদি যেত তবে, দেখা দিত এসে নয়নে।


ত্যাগ আর পরিত্যাগ, কাছাকাছি শব্দ
দুটোতেই ত্যাগ, ত্যাগে কি হবই মুগ্ধ!


কোনো এক ক্ষণে, এক স্থানে এক প্রাণ
দশ দিক দিয়ে, ঘেরা এ প্রাণের সম্মান।


সমতার মান, বলে কি ছুঁড়তে কাউকে!
ছাড়তে বলে কি! এ তো থাকবে বিতর্কে।


প্রত্যেক প্রাণ, ছাড়বে জীবন স্বইচ্ছায়
সেই ইচ্ছাকে, সন্মান দেওয়া উচিৎ কি নয়!


ছোট্টবেলায়, ছুঁড়িনি কি ঢিল খেলাতে!
যায় না যে ছোঁড়া ঢিল, যৌবন বেলাতে।


ত্যাগের ইচ্ছা হলেই তো ত্যাগ করব
পরিত্যাগেও, ইচ্ছার সাথে চলব।


মন যদি চায় ছাড়তে, ছাড়ব নিশ্চিত
ছাড়ব, কিন্তু গাইব না অপমানের গীত।


জীবন ভাসুক, ন্যায্য নদীর জলেতে
ভাসতে ভাসতে, জীবন জিতুক খেলাতে।


সুবীর সেনগুপ্ত