যে লোকটা
অফিসে সব কাজ করে বিনা প্রতিবাদে
যে লোকটা
বাড়িতে বউ ছেলের হাতে মার খায় মুখ বুজে
যে লোকটাকে
আত্মীয় স্বজনেরা বলে স্ত্রৈন
যে লোকটা
পাড়ার ছেলেদের ভয়ে দ্বিগুণ চাঁদা দেয়
যে লোকটার
প্রেমিকা বিয়ের পর তাকে কাপুরুষ বলে
যে লোকটার
টিফিনে রুটি আলুভাজার বেশী জোটেনা
যে লোকটাকে
সবাই দিনরাত অবদমিত করে রাখে
সেই লোকটাই আজ আলমগীর পালার নাম ভূমিকায় মঞ্চে উঠেছে।
গম্ভীর স্বর,কঠিন শাসন
তার দৃপ্ত ভঙ্গী
সে ই হোতা দন্ডমুন্ডের কর্তা।
অকুতোভয় সেই রাজাকে
দেখে রোমাঞ্চিত হই।
যারা চিরটাকাল তাকে দমিয়ে রেখেছে
যেন সবাই কে সে দেখে নিতে চায়
তার রক্তে জ্বলে আগুন
কী ভীষন কী বীভৎস।
শিহরিত হই
এই কি সেই লোক?
নাটক এগিয়ে চলে।
এক সময় যবনিকা পড়ে।
সাঙ্গ হয়েছে তার রাজা সাজার পালা।
রিক্ত হয়েছে তার ক্ষনিকের পৌরুষ।
সে রাজমুকুট খোলে।
খোলে রাজবেশ।
সকলে অভিনন্দন জানায়
কিছুই তার কানে পৌঁছায় না
সবার আড়ালে ঢুকে পরে কলঘরে।
দুচোখে জলের ধারা।
নিজেকে নিজেই সে সান্ত্বনা দেয়
সে তো রাজা
রাজাদের কাঁদতে নেই।।