কল জলধ্বনি
চলেছে প্রহর গণি।
মুগ্ধ আবেশে তান
ছল করে অফুরান।
হৃদয় গুমরে ওঠে নিবিড় মায়ায়।
অবসাদ নেমে আসে বিভোর কায়ায়।
ব্যাঙের বেসুরো ডাক
কন্ঠে ফেরায় বাক।
সুরগুলো ছেপে ওঠে বাদল নীরে।
সন্ধ্যার আঁধার ঘেরে ক্ষণিক ধীরে।


ফাঁকা প্রান্তর, ভিজে উর্বর মাঠ
সহস্রফোঁটা মুক্ত সলিলে ভরাট।
খেজুরের তলে সিত-বেলীফুল ফোঁটে।
বিরহেরা সব সিংহ সংকটে টোটে।


আজ প্রকৃতি রানীর হরিৎ-শ্যামল প্রান্তর -
বরষা দিবসে জেগে ওঠে মোর অন্তর।
মনমেঘ হায়, ক্ষণে ক্ষণে গায়, সুরহীনা সুখ-সংগীত।
অন্তরী মাঝ, ডাকে যেন সাঁঝ, সিক্ত অভ্র-অসিত।
মেহগণি তরু জড়োসড়ো পড়ে বাগানে,
থেকে থেকে দোলে হাওয়ার আদান-প্রদানে।
সরু তালগাছ শুকনো পাতার মর্মরে
বৃষ্টির রোল করে অবিরল স্তব্ধ চরাচরে।
পূর্ব আকাশে মন্দ ফ্যাকাশে, বাজছে অশনি মাদল।
জ্যোতিময় করে আলোকিত ঝরা বাদল।
সবকিছু কাছে এক হয়ে আছে - দূরে পল্লীর গ্রাম।
বনফাঁকে গরু আপন মানসে খেয়ে চলে অবিরাম।


০৮-০৬-২০১৩, সন্ধ্যা