আগন্তুক ;- নক করতে পারি ?


অচেনা মুখ;-করেই ফেলেছেন।


;- আসলে কলিং বেলটা খুজে পাইনি.....
   তাই অনুমুতি না নিয়েই ভিতরে প্রবেশ..
   অনুমুতি গ্রান্টেড করার জন্য... ভুল হতে...
   অনিচ্ছায় ক্ষমা প্রেরণা...


;- আসুন, বসুন ,  আমার ঘরে সোফা নেই,
   ভাঙা পিড়ি।


;- তাতে আমি চিরচারিত ভাবেই অভ্যস্ত..
  সমস্যা নেই...
   তারপর বাসা এত ফাঁকা ফাঁকা লাগছে কেন..!!
   আর সকলে কই?
   নাকি নিরিবিলি একাই এখানে নীড় বেঁধেছেন!!


;- ছ'টা পাখি আছে, ওরা ঘুমোচ্ছে তাই নীরব লাগছে।


;- চা দিবেন !! নাকি শুকনতেই কথা সারবেন.?
   আমি মহাশয়ী বহু ক্রোশ পেরিয়ে..এ পর্যন্ত..
   তাই গলা ভেজাতে চাই...


;- চাপাতি ফুরিয়ে গেছে। লেবুর শরবত করে দিই?


;- যথা আজ্ঞা জনাবী..বড্ড পিপাশা পেয়েছে যে..
  
;- এই নিন, গরম শরবত, আমার ঘরে ফ্রিজ নেইতো।  
    চার চামচ চিনি দিয়েছি।


;-  ঐ ওতেই চলবে..এত কষ্ট করে অচেনা
    এই আগন্তুকের তরে অবেলাতে সরবত করতে হলো..
    শুধু ধন্যবাদ ছাড়া দেবার কিছু নেই আমার ।


; - তারপর!! আর কিছু ?


;- তারপর আর পর নেই সব ই আপন ...


;- ও আচ্ছা !! এখন বলেন মূল আলোচনা ?


;- আমি মহাশয় বেশি কথা পেঁচিয়ে বলার মানুষ না..
  কথা অনেক খানি ই ছিল..তবে মূল কথা..
  মিতালী   সমুধুর ও আঠালো করার জন্য ..
  আপনার  পদক্ষেপ সংক্ষিপ্তকারে বলুন..
  আমার আবার সময় নেই..তাড়াতাড়ি এখান
  থেকে   উঠতে হবে ..বলেন ...


;- তাহলে অন্যদিন কথা হবে।


;- ও বুজতে পেলুম..


;- সে কী?


;- বলার মত না.


;- ও আচ্ছা !! তেতো কিছু নয় তো ?


;- তা কেন..!  শুনতে কি ইচ্ছে জাগে..?


;- হুম..


;- যদি শুনতেই হয়..তাহলে কবিতা শুনুন..


অচেনা মুখ ;- তবে তাই ই হোক!


আগন্তুক.;- তাহলে শুনুন...


চুপচাপ..নিশি
শুভ রজনী...!!
কে  ঐ অচেনা কাকন মালা তুমি
কোন বাগানে উদয় ?
কোন সে সুভাস রহস্যময়ী রমণী!!


কেন তোমার কাব্য বাগানে
বন্ধুত্বের অদৃশ্য বাড়ানো দু-হাত ?
কেন তুমি দূরে থেকেও কাছে মনে হয়
কেন ঐ জোছনা আলো ছড়ায় ?
কেন মায়াবী আলো নিয়েও
আজো একা ঐ  চাঁদ ?


অচেনা মুখ ;- বাহ্, সুন্দর।( মুচকি হেসে)

আগন্তুক ;- অবশেষে হাসি মুখ..উদয়..
              বেশ সার্থকতা খুঁজে পেল..বিদায় বেলাটা।