বুলেটের খোসায় কষ্টের হুঙ্কার ছেড়েছিল বাংলাদেশ
কেউ দেখে নি, কেউ টেরও পায় নি।
প্রবল বাতাসের বেগে ঝড়ের সাথে মিশে গিয়েছিল বুলেট খোসার গন্ধ...
তবুও আমাদের লজ্জা হয়,
এতদিন পর আমরা শুনতে পাই বুলেট খোসার অভিশাপ।


পথের পাশে এক পাগলীর জামা-পাঁজামা ছিঁড়ে শরীর খাচ্ছিল কিছু দুপায়া জানোয়ার
আমি ছাড়া কেউ দেখেনি,কেউ  টেরও পায় নি
গাছ গাছালি আর ঝোঁপের মাঝেই আটকে গিয়েছিল তাঁর জরায়ু ছেড়া চিৎকার
এখন আমার লজ্জা হয়, সেদিন কেন এগিয়ে যায় নি তাকে উদ্ধারে
এতদিন পরেও আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়, পাগলীর সেই শরীর না বাঁচানোর অভিশাপ।


ধরণীর বুকে মানুষ হয়ে চলা কি সমাজের বুকে লাথিঘাত !
                ভুলে গেছি বেঁচে থাকা, মনে নেই ঈদের মাঠে সেই সে কোলাকুলির আলিঙ্গনের তাপ।
              বাক স্বাধীনতা ,
              ত্রাণ চুরি,
              আবরার খুন,
ধর্ষণের বিচার   চাওয়া কি রাষ্ট্রের বুকে গণতান্ত্রিক কামড় ?
শোষণের সমাজে মানুষের পেটে একবেলা ভাত চাওয়া কি পাপ !
এসব নিয়ে ভাবতে পারিনা আর... বুকে ব্যথা উঠে,
উচ্চ রক্তচাপের দরুন মাথার নিচের রগটা ছিঁড়ে যাবার উপক্রম..
         কিন্তু আমি রোজ স্পষ্ট শুনতে পাই রাষ্ট্রের বুকে ঘটে যাওয়া
বুলেট খোসার আর পাগলীর সেই চিৎকারের অভিশাপ.....।