তথাপি তোমাকে ভুলে যাবো প্রতিমা বিসর্জনের মতো।
ভুলে যাবো প্রতিদিন নিঃশ্বাস নেবার মত , সূর্য ওঠার মত , অন্ধকারে জ্যোস্না ছড়িয়ে দেবার মত ,
নিয়মিত সকালের পর দুপুর,এরপর সন্ধ্যা গড়িয়ে অর্ধেক পৃথিবিকে রাতের চাদরে মুড়িযে দেবার মত করে ভুলে যাবো।


ভুলে যাবো  মুয়াজ্জিনের প্রতিবার আজানের পর, প্রতিবার অজুর পর, প্রতি খুদবার পর,প্রতি সেজদা কিংবা হাতজোড় মুনাজাতের পর। প্রতি সালামে তোমাকে ভুলে যাবো।


তোমাকে ভুলে যাবো -মায়ের কোলে শিশু যেদিন মায়ের বুকের দুধ খাওয়া ছেড়ে দেবে সেদিন। যেদিন আর সূর্য্যের দেখা মিলবে না , চাঁদের বুড়ির আর ওঠা হবে না , যেদিন আর পৃথিবীতে অন্ধকার সরিয়ে  সকাল হবে না, সেদিন।
যেদিন সব কোলাহল বন্ধ হয়ে যাবে, পাখি ডাকা ভুলে যাবে, নদীর স্রোত থেমে যাবে, ফুলের সৌরভ মুছে যাবে যেদিন  , ঠিক সেদিন তোমাকে ভুলে যাবো।


তোমাকে ভুলে যাবো মিটিমিটি তারার জ্বলে থাকার মত করে,আজীবন বৃষ্টির আশায় চাতক পাখির মত করে।
রেওয়াজ করার মতোই তোমাকে ভুলে যাবো রুটিন মাফিক।


তোমাকে ভুলে যাবো-সাগরের ঢেউয়ের ফেনার সংখ্যার সমান, ভুলে যাবো শীতের পর বসন্ত না এলে, ভুলে যাবো কোন এক বর্ষায় মুসুল ধরে বৃষ্টি না পরলে অঝোর ধারায়, ভুলে যাবো গুণে গুণে তোমায় তিনশো  পঁয়ষট্টিদিন পাড়ায় পাড়ায়।


২০-১০-২০
নারায়ণগঞ্জ
রাত ১২:৩৮