দিনপতি কখন হারিয়ে গেল বুঝতে পারিনি হায়!
শুধু বুঝেছি মেঘ লেগে আছে গগনের সারা গায়।
মৃদুমন্দ বইছিল বাতাস, গাইছিল পাখি গান
অবনী যেন কার সাথে আজ করেছিল অভিমান।
ভাবছিলাম তখন, আসবে কি ফিরে দিনপতি?
অবনী তখন ঘটিয়ে দিল তার অভিমানের ইতি।
দিনপতি ফিরে ছিল খুশি মনে বাড়ি,
ক্ষণকালেই দিল সে আবার অসীমের পথে পাড়ি।
টপটপ করে ঝরছিল জল গগনের আঁখি থেকে,
বৃক্ষমালা করছিল শোক তার জল গায়ে মেখে।
হঠাৎ করেই ফুরিয়ে গেল গগনের আঁখি জল,
আকাশে বাতাসে ছড়াচ্ছিল যেন শান্তির পরিমল।
মধ্যদুপুরে অবনীর মুখ হয়ে গেল মলিন,
সে মলিনতা যে কাটবেনা আর কেউ কি জানত কোনদিন?
গগনের অশ্রু যেন আজ হতে চায় না শেষ,
সেই অশ্রুতে ভিজছিল আজ অবনীর প্রতিটি কেশ।
দিনপতি আর এল না ফিরে গগনের শূণ্য বুকে,
ঈষৎ রক্তিম আভা দেখে তার অবনী মরছিল দুঃখে।
অবশেষে ঘনিয়ে আসলো আজ দিনের ক্রান্তিকাল,
ভাবছিলাম বসে, এভাবেই কি অবনী থাকবে চিরকাল?
মেঘের বুকে লুকিয়ে ছিল কোটি তারকারা,
সেই ভয়ে চন্দ্রমণি আজ দেয়নি কোন সাড়া।
ডাকছিল ব্যাঙ ঘ্যাঙর-ঘ্যাঙ, ঝিঁঝিঁ ডাকছিল ঝিঁঝিঁ
দুই সুর মিলে মিশে আজ একাকার হচ্ছিল বুঝি।
জানিনা আর ঘটবে কি আজ,
হয়তো অবনী পরবে সুখতাজ।
কালপ্রভাতে ফিরবে দিনপতি তার বাড়ি,
সেই সুখে দেবে অবনী নব দিনপথে পাড়ি।



রচনাকালঃ  ১২-১৩/০৬/২০০৯