শরত এসেছে কাশফুল নিয়ে শুভ্র হাসিতে মাখা,
পেঁজাতুলো মেঘ আকাশের গায় রঙ-তুলিকায় আঁকা।
দোল খেয়ে যায় পোঁয়াতি ধানের চিরল সবুজ পাতা,
চকচক করে পান্নার মতো নেই কোন আবিলতা।
বর্ষার শেষে শান্ত সুবোধ সমস্ত পরিবেশ,
রূপের ছটায় ঝিকমিক করে শ্যামল বাংলাদেশ।
ছবির মতোন প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ রূপ ধরে,
রূপের এমন শোভা দেখে মন সদা আনচান করে।
এমন দিনেই কবির কলম হয় যে স্বেচ্ছাচারী,
শুদ্ধ কবিতা লেখার জন্য করে যায় আহাজারি।
শিরা-উপশিরা টগবগ করে শব্দে নাচন উঠে,
ভালোবাসা দিয়ে অতুল রূপকে তুলে ধরে করপুটে।
কবি, জেগে ওঠো, কবিতার দিন ডাকছে তোমায় সুরে,
আলস্য করে থেকো নাকো আর রুদ্ধ অন্তপুরেে।
ঘর ছেড়ে যাও প্রকৃতির সাথে মিশে হও একাকার,
কলমের মুখে শব্দ ঝরাও, থেকো নাকো অবিকার।
রূপ দেখে যদি কবিতা না আসে বৃথাই জীবনখানি,
অহেতুক তুমি কবিতাকে নিয়ে করে যাও টানাটানি।
রূপের বাহার ছড়িয়ে দিয়েছে শরতের আশ্বিন,
হে শুদ্ধ কবি বাংলাদেশের! আজ কবিতার দিন।
কবিতা হোউক জীবনের বাণী বাঁচিবার অধিকার,
কবিতা হোউক সৌন্দর্যের রূপের আবিষ্কার।
ভরা স্রোতস্বিনী ভাটির টানেতে ছোটে সাগরের পানে,
তেমনি আমরা ছুটে চলি নিতি জীবনের গানে গানে।


০৩/১০/২০২৩
ঢাকা।