সময় হচ্ছে গত,
আমাদের এই মানুষজীবন ঝরা পালকের মতো
দীর্ঘশ্বাসের তুমুল বাতাসে উড়ে যায় বহুদূর;
অবহেলা আর অপমানে ওড়ে, জীবন বেদনাতুর।
ভালোবেসে কেউ বলে না যে হেসে বনলতা সেন হয়ে-
'কোথায় ছিলেন? কোন নির্জনে, কতো ব্যথা বুকে লয়ে'?
একা একা চলা আপন ভুবনে নিরিবিলি অবিরত;
                                     জীবন হচ্ছে হত।


সুখের আশায় থাকে-
অ-সুখের মাঝে বসবাস করে আপনাকে ঢেকে রাখে।
আনন্দ চায়, চায় হিল্লোল জীবনের চারিধারে;
বেদনারহিত মানুষ জীবন চেয়ে যায় বারেবারে।
সুখের পসরা চারিদিকে দেখে, দুঃখ বাড়ায় তাতে।
এলোমেলো হয় মানুষজীবন কোন অভিসম্পাতে?
জানে না কিছুই, বুঝতে পারে না জীবনের বেদনাকে;
                                      নির্জনে তাই থাকে।


সত্য বলে সে যারে,
সে-ই করে যায় নিঃস্ব তাহারে অসমীহ ব্যবহারে।
মিথ্যাবাদীর কুটিল জীবনে পায় না সুখের ছোঁয়া;
সুখ কি রে এতো হেলাফেলা ধন, মামার হাতের মোয়া?
কিনে নিতে হয় সুখের বাসর মানবজীবন ঘসে,
দুঃখবিহীন সুখময়ধারা বহে না রঙ্গরসে।
স্বার্থবাদীরা বোঝে না এ কথা অহংকারের ভারে;
                                   লোভময় সংসারে।


এ জীবন যেন মরু!
বিসারিত আছে চারিধারে সব পত্রবিহীন তরু।
তপ্ত-বায়ুর হাহাকার উঠে বিরহ-বেদন-সুর,
আক্রোশে মরে নিস্তরঙ্গের শান্ত সমুদ্দুর।
আনন্দহীন মর্মের কথা আকুলিবিকুলি করে,
বলতে পারে না দুঃখের কথা লজ্জায় যায় মরে।
বেঁচে থাকে ভবে অবহেলা নিয়ে বোধহীন এক গরু;
                                   যারে করে দুরু দুরু।


অসীম কুয়াশা ডাকে;
আর কতোকাল থাকবি রে তুই অন্ধকারার বাঁকে?
ফিরে আয় ওরে, ফিরে আয় তুই অসীমের সীমানায়;
অমৃতের সুধা পান করে যা রে মৃত্যুর পেয়ালায়।
ক্লীষ্ট-ক্লান্ত হয়ে বেঁচে থাকা মৃত্যু-নামান্তর!
স্বার্থবহুল পৃথিবীতে কতো কাঁদবি নিরন্তর?
ফিরে আয় তুই শাশ্বত পথে ভুলে গিয়ে আপনাকে,
                                 অসীম দেশের বাঁকে।


০৭/০৯/২০২৩
ঢাকা।