চারিদিকে অন্ধকার, সুনসান নিরবতা নামে;
আকাশের চোখ-মুখে, ধূলা-বালি-নদী-মাঠ-ঘাসে।
অন্তরের অবসাদ পত্র লেখে জীবনের খামে
মৃত্যুর জড়তা নিয়ে, পাষাণের ক্ষুধিত নিঃশ্বাসে;
হেসে উঠে গোধূলির আলোধারা পরম বিশ্বাসে।
পৃথিবীর সব ছেড়ে, কামনা-বাসনা অবহেলে
চলে যেতে চাই দূরে, দীর্ঘদূরে; চলি উর্ধ্বশ্বাসে
ইচ্ছাকে কবর দিয়ে। যেন এক পলাতক ছেলে,
সকল শাসন ভুলে চলে যায় সবকিছু ফেলে।


আকাঙ্খার দোলা ওঠে, কথা কয় নক্ষত্রেের সাথে,
পৃথিবীর সিন্ধুপারে; ছায়াঘেরা পাহাড়িয়া বনে।
বেহালার সূক্ষ্ম তারে দীর্ঘশ্বাস বেজে উঠর রাতে;
শীতের নদীর ন্যায় জলবতী শুকায় গোপনে।
মানুষের অপমানে বিষন্নতা জেগে উঠে মনে;
ঝড়ের বাতাস বয়, শুদ্ধ হয় শরীর মনন।
আজ মেঘের মতোন উড়ি আকাশের কোণে কোণে।
প্রত্যহ কামনা করি অকস্মাৎ নিশব্দ মরণ!
সব ছেড়ে দিয়ে তাই অজানায় হয়েছি গোপন।


অন্ধকার! নেমে আসো, ঢেকে দাও বিশ্ব-চরাচর;
আঁধারের অপরূপ রূপ দেখে বিমোহিত হ'বো।
কী আশ্চার্য সৌন্দর্যে গ্রন্থিত অন্ধকারের অম্বর!
অনুভবে যে দেখেনি কখনো তা', কিভাবে বোঝাবো
কবিতায়, সৌন্দর্যের বিপুলতা? কোন শব্দে ক'বো
অপরূপ রূপের মহিমা? নিখুঁত শান্তির ধারা
ঝরে যায় তাতে নিরন্তর। স্বইচ্ছায় সেইখানে র'বো
আজীবন কাল ধরে, অন্ধকারে, হয়ে আত্মহারা;
দুষিত মানুষ ছেড়ে হবো অলকানন্দার ধারা।


০৫/০৯/২০২৩
ঢাকা