কবিতার কল্পনা মরে গেছে। আজ
চারিদিকে বাস্তবের উজানী-ঢেউ;
স্তব্ধ হলেই জীবনের কারুকাজ,
নাম ধরে ডাকে নাকো পৃথিবীতে কেউ।


কাফনের পিরহানে ঢেকে দেয় লাশ,
বিত্তের অহমিকা হয়ে যায় শেষ;
পদ ও পদবি শুধুই দীর্ঘশ্বাস!
পরিজন চেয়ে থাকে দূরে, অনিমেষ।


সন্ত্রাস করে সম্পদ তোল গড়ে,
কিছুই যাবে না কবরের ওই দেশে;
কেউতো নেবে না পাপের হিস্যা। ওরে,
সবকিছু ফেলে যেতে হবে অবশেষে।


চার বেহারার কাঁধে ভর করে যাবে,
খালি দুটো হাত, আভরণহীন দেহ।
মানুষের মাঝে যদি র'তে সদ্ভাবে,
হয়তো দু'হাত তুলে দোয়া চে'তো কেহ।


পৃথিবীর বিলাসিতা পরিহার করে
মানুষের মাঝে মানুষের মতো রহো;
এই মানুষ-জীবন মানুষের তরে,
মানুষের ন্যায় মানুষের কথা কহো।


সুরম্য বাড়ি, অঢেল অর্থকড়ি,
তৃণবৎ পড়ে রবে পৃথিবীর রথে;
নিঃশ্বাস শেষ হলে সবে যাবে সরি',
কানাকড়ি দাম থাকবে না সম্পদে।


রাজা-মহারাজা যতো কেউ নেই ভবে,
চেঙ্গিস, হালাকু শত অত্যাচারী;
আমাদেরকেও সব ছেড়ে যেতে হবে,
তবে, কেনো মিছে বিত্তের আহাজারী?


সরল পথের যাত্রীরা সুখে থাকে-
যুগে যুগে বলে গেছে মণিষীরা যত;
বেঁচে থাকে শত অসাধু দুর্বিপাকে,
হে মানুষ! ভাবো, অবিরাম অবিরত।


২২/০৭/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।