এখন যারা কাব্য করেন ছন্দেতে উন্নাসিক,
ভাবেন তারা ছন্দকবি বাতিল ও বেরসিক!
ছন্দে যারা লেখেন তারা মান্ধাত্মারই কবি,
জটিল ভাবের নেইতো প্রকাশ শুধুই কল্পছবি।


পদ্যকথায় লিখেছিলেন যারা পুরানকালে,
তাদের কাব্যে নাচে পাঠক ছন্দকথার তালে।
জটিল জীবন আনতে হলে ছন্দবিহীন লেখো,
হালের 'কবি' লিখছে কেমন, তাদের কাছে শেখো।


বিমূর্ততার কাব্যকথায় চিত্রকল্প নাই,
কথার পরে কথা নাচে, আনকোরা বড়াই!
এমনি ধারায় চললে; তবে, সুর হারাবে কাব্যে,
ছন্দবিহীন কাব্যকথা, তা নিয়ে কে ভাববে?


রবী ঠাকুর, নজরুল আর জীবনানন্দ দাশ,
তাঁদের কাব্যে শুধুই নাচে ছন্দ-অনুপ্রাস?
নাই কি কথা দেশবারতার, মূল্যবোধের সুর,
বিদ্রোহ ও প্রেম অমিতাভের অম্ল ও মধুর?


পুরাতন সেই মহাত্মারা, যাদের সেলাম ঠুকি,
কাব্যকথায় দেখায়নি তো মিথ্যের বুজরুকি।
ও কবি ভাই! ছন্দ-নিয়ম এবার জেনে রাখো,
কাব্যরসিক করবে স্মরণ, যখন নাহি থাকো।


১০/০৯/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।