হরিপ্রিয়ে লক্ষীদেবী দাও বরদান।
শরণাগত যারা জানাচ্ছে প্রণাম।।
অগতির গতি তুমি ভুবনের মাঝে।
ধন দাও, সুখ দাও, শান্তি দাও কাজে।।
প্রদোষ-কালে তোমায় গৃহস্থেরা ডাকে।
এসো দেবী, লক্ষী তুমি কোজাগরী রাতে।।
ফুল-মিষ্টি উপাচারে ডাকিছে তোমায়।
ধন-জন, শস্য লয়ে আসো গো ধরায়।।
জেগে আছে এই রাতে মানুষ সকলে।
কোজাগরী পূর্ণিমাতে এসো সদলবলে।।
লাল চালের গুঁড়ো-গোলায় আল্পনা আঁকিয়া।
অপেক্ষাতে আছে সবে, ওগো হরিপ্রিয়া।।
পেঁচক বাহনে তুমি হরিপ্রিয়ে এসো।
ধন-জন দিয়ে তাদের দুঃখগুলো নাশো।।
যাদের বেশি সম্পদ নেই, তারা কিছু চায়।
আছে যাদের রক্ষাহেতু জাগিছে আশায়।।
জেগে আছে সারা রাত্রি অক্ষক্রীড়া করে।
পূজার আচার করে বহু ভক্তিভরে।।
'সপ্ততরী' ভাসাইলো কদলি মোচায়।
বাণিজ্যের পসরাতে দাও ভরে তায়।।
নারকেল-নাড়ু আর লাবড়া-খিচুড়ি।
প্রসাদ-স্বরূপ দিলো দিলখোলা করি।।
পঞ্চপদের তরকারি, জোড়া ইলিশেতে।
ভোগ স্বরূপ দিলো সবে তোমার সম্মুখে।।


মানুষের পৃথিবীতে বহুত ইঁদুর।
তোমার পেঁচক দিয়ে করে দাও দুর।।
ইঁদুরেরা ধান খায় আরো খায় দেশ।
দুর্গাসহ এসে তুমি করে দাও শেষ।।
পঞ্চশস্য দেওয়া হল তোমার খুশিতে।
দেবী লক্ষ্মী সুখ দাও মানুষের চিতে।।
ধন-জন, খ্যাতি-জ্ঞান, স্বাস্থ্য-সুখ আর
সৌভাগ্য সমৃদ্ধি চায় প্রতি পরিবার।।
আরাধনা করে সবে চায় ঝটপট।  
গঙ্গাজলে শুদ্ধ করে সাজিয়েছে ঘট।।
হরিতকী, ফুল-দুর্বা, ডাব-কলা দিয়ে।
আমের পল্লবে তারা রেখেছে সাজিয়ে।।
এসো, ওগো লক্ষ্মী দেবী নিষ্ঠা করো তুমি।
ফুলে-ফলে, ধনে-জনে সাজাও মর্ত্যভূমি।।
বাঙালি হিন্দুর ঘরে তুমি চিরন্তন।
দুর্গার বিদায় শেষে করো আগমন।।
লক্ষ্মীর পাঁচালী আজ করে দেই শেষ।
দেবী লক্ষ্মী হরিপ্রিয়ে! মধুর আবেশ।।


২১/১০/২০২১
চর বাউশিয়া গজারিয়া মুন্সিগঞ্জ।