কল্পকথার গল্পতো নয়, এক্কেবারে সত্যি,
নেই গোজামিল তিল পরিমাণ, মিথ্যে নয় এক রত্তি।
একাত্তরে বাংলাদেশে আইছিলো দজ্জাল,
মানুষ-রক্তে পদ্মা-মেঘনা করেছিলো লাল।
ভাইয়ের বুকে গুলি দিতো, মায়ের বুকে দাঁত,
দিন-দুপুরে আনতো টেনে আঁধিয়ারা, রাত।
সেই পশুরা হত্যা করে তিরিশ লক্ষ প্রাণ,
হরণ করে দুই লক্ষ মা-বোনের সম্মান।
দেশের যত মাথা ছিলো জ্ঞানী-গুণীজন,
নিরস্ত্র সব নারী-পুরুষ করেছে নিধন।
অত্যাচারের ষোলোকলা যখন পূর্ণ হলো,
মুক্তিকামী সাহসীরা বললো, 'যুদ্ধে চলো'।
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হলো, ভীষণ কুরুক্ষেত্র,
মৃত্যুভয়ে দজ্জালদের বিস্ফারিত নেত্র।
বাঁচার আশায় দুহাত তুলে করলো সারেন্ডার,
অবশেষে, বন্দী হলো অসৎ কুলাঙ্গার।
স্বাধীন হলো শ্যামল মাটি, সবুজ বাংলাদেশ,
উঠলো সুরুজ পূব-আকাশে ঝড়ের রাতের শেষ।


রক্ত দিয়ে কেনা হলো লাল সবুজের ঝান্ডা,
কিন্তু, তখন লুকিয়েছিলো দাজ্জালদের পান্ডা।
তারাই আবার আঘাত হানে মহান বীরের বুকে,
একরাত্রেই তছনছ করে কাঁদছি তাঁরই শোকে।
যার ডাকেতে যুদ্ধ করে হয়েছিলাম স্বাধীন,
তারই নামে স্তুতিমালা গাঁথছি প্রতিদিন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর জাতির জনক জানি,
সে নাম নিয়ে নিত্য বহে মধুমতির পানি।


১৭/১২/২০২১
মিরপুর ঢাকা