বিজয় দেখেছি আমি বিমূর্ত অন্তরে,
উজান নদীর তোড়ে বয়ে চলা জল;
দীপ্যমান একাত্তরে, রিক্ত ডিসেম্বরে
বাঁধভাঙ্গা ক্ষিপ্ততায় ছোটে অনর্গল।


বিজয়-উৎসবে হাসে কৃষাণি অঙ্গনা,
শয্যাশায়ী রোগাক্রান্ত, বিধবা জননী;
নবীন-প্রবীণ-শিশু, যোদ্ধা-বীরাঙ্গনা-
অন্ধকারে জ্বলা ওঠা অনন্য অরণী।


মুখে হাসি চোখে জল, হৃদয়ে বেদন,
বুকে বুক চেপে ধরে শক্ত আলিঙ্গনে;
বিজয়ের মানচিত্রে অনন্য স্পন্দন!
তোয়াক্কা করে না কেউ কতো দুঃখ মনে।


ভুলে গিয়ে বেদনার সমস্ত প্রহর,
দৃপ্তহাতে তুলে ধরে বিজয় নিশান;
নতুন উদ্যোগে ভাসে প্রত্যাশার 'পর,
রৌদ্রজ্জ্বলে গেয়ে যায় জীবনের গান।


বিজয়ী দেখেছি আমি দু'নয়ন মেলে,
সবুজের বুকে হলুদাভ ধানক্ষেতে;
ষোলোই ডিসেম্বরের প্রদীপ্ত বিকেলে
প্রভাতের সূর্য ওঠা আনন্দ সংকেতে।


১৯/১২/২০২৩
ঢাকা।