জীবন-যাপন যেন মরুভূমি তপ্তবালুকা-জ্বালা,
রৌদ্র-দগ্ধ তীব্র-দাহন অন্ধ-বন্দিশালা।
তার মাঝে তুমি খর্জুর-তরু, ফল্গুধারার মালা;
আতপ-তপ্ত বালুকারাশিতে শীতল পুষ্পবালা।


সারা দেহে যবে কণ্টকজ্বালা উতলা হৃদয়-দেহ,
প্রেমাতুর জ্ঞানে শান্তি-শরাব ঢেলে দেয়নিতো কেহ।
তখন প্রিয়তি ঊর্ধ্ব আকাশে ডানা মেলে দিলো স্নেহ;
ঊষর-মরুতে সৃষ্টি হইলো মায়া-শান্তির গেহ।


সুশীতল জল, পাখির কাকলি অপরূপ এক দেশ!
অতৃপ্ত মনে তৃপ্ততা আনে নাশি' দুঃখের লেশ।
স্বপ্ন-সাকির ভালোবাসা-প্রেমে বেদনার হয় শেষ;
বালুকাভূমির বন-বীথিকায় হেসে উঠে পরিবেশ।


কে তুমি প্রিয়তি? অশ্রুজলের লবণ মেশানো জলে,
পরাণ জুড়ানো সুস্বাদু জল নীরবে এনেছো তুলে!
আবেগপ্রবণ অশান্ত মনে জন্মায় সুখদলে;
তাই, নিশিদিন তসবি পড়ছি- 'প্রিয়তি, প্রিয়তি' বলে।


২৮/০৯/২০২৪
ঢাকা।