আমার প্রিয়তি আমার খোদা
বিষজ্বালা বুকে প্রিয়ংবদা
দলতে হৃদয় কাড়তে প্রাণ
কঠিন হস্তে মারছে টান
চাঁদের মতন রূপ যে তাঁর
মরমে পশিলে বাড়ে বিকার
রূপসীর মত ডাকে আমায়
সেই ডাক শুনে ছুটি সদায়
বন-জঙ্গল, পাহাড়-নদী
পার হয়ে যাই আদি-অনাদি
তার চেয়ে কেউ নেই আপন
সেই তো আমার প্রিয় স্বজন।
বিহগ পাখায় উড়াল দিয়ে
খুঁজে ফিরি সদা কোথায় প্রিয়ে?
আর কতোদিন এমন করে
রইবো সুদূরে পরস্পরে?
আলতো আঙুলে ধরে আমায়
নিয়ে যাও প্রিয় তোমার ঠাঁয়
আনন্দ-সুখে হাসি ও গানে
জড়িয়ে থাকবো তৃপ্ত প্রাণে
প্রিয়তি প্রিয়তি ডাকছি নীতি
ভুলে গেছি সব শরম-ভীতি
আলিঙ্গনের পরম রেখা
দুঃখ ব্যতীত হয় না দেখা
অন্তরে তাই বিষাদ-সুর
বাজিছে নিশিত-দিন-দুপুর।
রাতের আঁচল দীর্ণ করে
আসবে কখন আমার ঘরে?
সতেজ হৃদয়ে রঙিন ফুলে
সাজাই নিজেকে কৌতুহলে
লাল টুকটুক শিরিন ঠোঁটে
শরাব রাখিয়া পত্রপুটে
অন্তরীক্ষ-আঁধার থেকে
বিস্ময় সুরে আমায় ডেকে
নিয়ে যাবে সেই গোলাপবাগে
আমি যা দেখিনি কখনো আগে
সকল গোপন তত্ত্বকথা
ক'বো নিরিবিলি আমরা সেথা
নীল আকাশের নয়ন ছেপে
অশ্রু ঝরবে স্বর্গব্যাপে
মৃত্তিকা-লীন হবো দুজন
প্রিয়তি আমার প্রিয় সুজন।


২৯/০২/২০২৪
ঢাকা।