আমার বন্ধু সমীর কুমার, দেখেছি দীর্ঘকাল,
তাই, রেখে যাই শব্দে-ছন্দে কবিতার জঞ্জাল-


বন্ধুত্বের উৎকর্ষতা চেতনে ধরেছো তুমি,
সহজ হৃদয়, সুন্দর মন, শূন্য গোয়ার্তমি।
মানবিক প্রেম বিলাও ভুবনে অকৃপণ মনে-প্রাণে,
আঁধারের বুকে যেমন আলোক ছড়ায় বিবস্বানে।
হাস্যমূখর ভনিতাবিহীন, যতো দেখি ভালো লাগে;
সম্পর্কের তন্তুকে ধরো পরানের অনুরাগে।
অনসূয়াহীন হৃদয় তোমার দেখেছি সর্বক্ষণে,
সরল মননে বন্ধুকে বাঁধো উষ্ণ আলিঙ্গনে।
তোমাতে দেখেছি সততা-নিষ্ঠা দৃঢ় পাহাড়ের মতো,
লক্ষ্যাভিমুখে হেঁটে গেছো তুমি অবিরাম অবিরত।
মনোজগতের পূতঃ দীপশিখা করে গেছো সন্ধান,
প্রভাত বেলার কুয়াশার সুচি তোমার হৃদয়খান।


বিগত দিনের স্মৃতিগুলো এসে বলছে গোপন স্বরে,
এমন সখার মঙ্গল চাও অনন্ত চরাচরে।


জীবনের পথে দীর্ঘ দিবস-রজনী কেটেছে ভবে,
আর যতটুকু, তা-ও কেটে যাক আনন্দ উৎসবে।
নীলাভ আকাশে লাল মেঘ জমে দেখছি পরস্পরে,
কেবা আগে যাবে, কে পরে? ভাবছি বিষন্ন অন্তরে।
বিদায়ের বাণী করে কানাকানি, বুকেতে দীর্ঘশ্বাস!
কেউতো পারেনি হেলা করে যেতে মৃত্যুর নাগপাশ।
শাশ্বত ধারা পরম্পরায় চলছে বিশ্বমাঝে,
তরুণ সূর্য প্রখরতা শেষে ঘুমিয়ে পড়বে সাঁঝে।


যতটুকু ভালো করে গেছো তুমি কর্মে ও চিন্তায়,
চন্দন হয়ে সুবাস ছড়াক অনাবিল মহিমায়।


২২/০১/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।


বিশ্ববিদ্যালয়িক জীবনে যে ক'জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু পেয়েছি; তাদের মাঝে সমীর কুমার একজন। মেধাবী অধ্যেতা। বিসিএস সরকারী আমলা। কয়েকদিন পরে চাকরী থেকে অবসরে যাবে। তার অবসর উপলক্ষ্যে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশিত হবে। তাই, এ লেখার অবতারণা।