তপ্ত বায়ুর গল্প শেষে বৃষ্টি নেমে, অবশেষে
পোড়ামাটি শীতল করে জলের ফোঁটার প্রেম-পরশে।
আমরা ছিলাম টিনের ঘরে, ঝুপুরঝুপুর বৃষ্টি পড়ে,
বাইরে তখন জল-কণাদের আগ্রাসনে যাচ্ছে ভেসে,
কাব্যকথার ভালোবাসার গল্পে মেতে উঠি হেসে।


প্রসারিত মাঠের কোলে দড়ি বাঁধা গরুগুলোর
চঞ্চলতা যাচ্ছে বেড়ে বজ্রপাতের আওয়াজ শুনে।
আমরা তখন মগ্ন ছিলাম আনন্দময় কথার তোড়ে,
পরস্পরের কাছাকাছি; চা ছিলো যে পেয়ালা ভরে।
শিশুর দলে নামছে হেসে, উঠোন জুড়ে গড়াগড়ি,
তারই সাথে পোষা কুকুর 'টমি'টাও দৌড়াদৌড়ি।
ঘরের ভেতর মেনি বিড়াল খাটের নিচে চুপটি করে
পা চেটে যায় আপন মনে, গা বাঁচিয়ে জলের থেকে।


গল্পকথার মোড় ঘুরে যায়- অর্থনৈতিক জটিলতায়,
বাজেট নিয়ে, যুদ্ধ নিয়ে, আই এস নিয়ে, ধর্মকথার
মৌলবাদের অসারতা, শরণার্থীর কষ্টকথা, হত্যাকাণ্ড,
পাশের দেশের নির্বাচন ও প্রাচ্য-প্রতীচ্যেরও কথা।


ঝিম ধরেছে মেঘের গায়ে চুপ্‌সে গেছে জলের শরীর,
বৃষ্টিশেষে নামছে এখন সেলিব্রেটি সন্ধ্যাবেলা।
তখন দেখি, একটি শিয়াল দৌড়ে চলে অন্য ঝোপে,
আমাদেরও গল্পকথা দ্রুত ছোটে প্রেমকে নিয়ে।
হৃদয় নিয়ে খুব বেশি দিন হয়নি কথা কারোর সাথে,
ইস্কুল-কলেজ, ভার্সিটিতে এবং কোন কর্মালয়ে।
ছাগলছানার মতো শুধু দৌঁড়ে গেছি কুকুর দেখে,
মৃত্যু এবং সৌন্দর্য গোপন করে বুট পকেটে।


দুটো কথার কবিতা আজ লম্বা হলো গজের ফিতায়,
সে এসেছে ডালি নিয়ে ভালোবাসার তীব্র চিতায়।
বিশ্বাসেতে ভর করে সে দীপ্ত আশায় আজকে রাতে
কথার মালা গাঁথবে শুধু; থাকবো দু'জন একই সাথে।
বৃষ্টি জলে সৃষ্টি করে হাজার হাজার গোলাপ ফুলের,
আমরা তখন মুছে ফেলি দূর অতীতের সকল ভুলের
ঝগড়াঝাঁটি, মান-অভিমান, দুরন্ত প্রেম সৃষ্টিতে;
আশীর্বাদের বার্তা নিয়ে এলো আষাঢ় বৃষ্টি যে।


১৬/০৬/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।