আসমানীদের রসুলপুরে গেলাম নিমন্ত্রণে,
রহিমুদ্দির সে ঘরখানি রইছে গাঁয়ের কোণে।
এখন আর নেই ভেন্না পাতার জীর্ণ গৃহখানি,
টিনের চালায় ঝরে এখন টাপুরটুপুর পানি।
আমায় দেখে আসমানী আজ অনেক খুশি হলো,
মুচকি হেসে চোখ তুলে সে ঘরে ডেকে নিলো।
সোনার বরণ কন্যা সে যে বাঁশির মতোন নাক,
ভ্রমর কালো চোখ দুটো তার কণ্ঠ যেন শাঁখ।
বসতে দিলো বাড়ির দাওয়ায় পেতে পিঁড়িখানি,
বাইরে তখন জ্যোৎস্নার খই করছে কানাকানি।
আসমানীদের উঠোন জুড়ে হাওয়া খেলা করে,
গাছের ফাঁকে জ্যোৎস্না যেন বৃষ্টি হয়ে ঝরে।
বেতের ডালায় খই-মুড়ি আর সাথে পেঁয়াজ-লঙ্কা,
পিঠাপুলি খেতে দিলো ভুলে গিয়ে শঙ্কা।
এখন তারা আবেগপ্রবণ মানুষ জন্ম নিয়ে,
অতিথিদের আদর-সোহাগ করছে হৃদয় দিয়ে।
আসমানীরা উপোস করে রয় না যখন তখন,
'জসীমউদ্দিন! যাও দেখে যাও আসমানীদের এখন'।


২৬/০৭/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।