গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে 'বাংলা কবিতার কবি সম্মেলন ২০২০' অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর, শাহাবাগ, ঢাকায় অবস্থিত কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে। এবার আমাদের কবি সম্মেলন ২০২০ কে উৎসর্গ করা হয়েছে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান-এর প্রতি। তাই, এই কবি সম্মেলন ২০২০ -এর শ্লোগান ছিলো- 'মুজিব আমার অমর কাব্যের কবি'। পূর্বে নিবন্ধকৃত বাংলাদেশের ৬৪ জন কবির মাঝে  ৫৩ জন কবি উপস্থিত হয়েছিলেন। ভারত থেকে ৯ জন আসার ইচ্ছা থাকলেও এসেছেন ৬ জন। এ ছাড়া  নিবন্ধন ছাড়া কবি ও অতিথি উপস্থিত ছিলেন প্রায় ২০/২৫ জন।


সকাল ১০-০০ ঘটিকা থেকে ১১-০০ ঘটিকা পর্যন্ত সময়ে উপস্থিত হওয়া কবি ও অতিথিদের নাম লিপিবদ্ধ এবং সকালের নাস্তা ও কফি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। এরমাঝেই প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ উপস্থিত হোন। কবি জাহিদ হাসান রনজুর সঞ্চালনায় (সঞ্চালনায় আরো ছিলেন, কবি আফরিনা নাজনীন মিলি এবং কবি নায়ার সুলতানা লাবনী) এবং কবি কবীর হুমায়ূন-এর সভাপতিত্বে ১১-০৫ মিনিটে কবি সম্মেলনের অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। অতঃপর, একে একে করে প্রধান অতিথি-  মোহাম্মদ জাকীর হোসেন, বিশিষ্ট নজরুল গবেষক, অতিরিক্ত সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার; বিশেষ অতিথি- মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা ( এডমিন মহোদয়ের পিতা); বিশেষ অতিথি- কবি পারভীন রেজা, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক; বিশেষ অতিথি- সৈয়দা ফরিদা বেগম পলি, প্রদর্শনী প্রভাষক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর; কবি খলিলুর রহমন, আসরের বিশিষ্ট কবি; কবি অনিরুদ্ধ বুলবুল, আসরের বিশিষ্ট কবি এবং কবি ফারহাত আহমেদ, আসরের বিশিষ্ট কবি, মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। মঞ্চে উপবিষ্ট সকলকে আসরের কবিগণ ফুল দিয়ে এবং সভাপতি উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন।


প্রথমে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার পর পবিত্র কোরআন, গীতা ও বাইবেল থেকে পাঠ করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। অতঃপর, স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি অনিরুদ্ধ বুলবুল। এরপর, এডমিনের শুভেচ্ছা বাণী (অডিও) শুনানোর পর বাংলা-কবিতার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। কবি নায়ার সুলতানা লাবনী কবি পল্লব আশফাকের কবিতা 'ক্ষণিক বিরতি' আবৃত্তির পর সম্মেলনে উপস্থিত সকল কবিদেরকে একে একে মঞ্চে আহ্বান করা হয় এবং তাঁদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে সম্মান জানানো হয়। সকল কবিকে মঞ্চে তুলে ফটোসেশন করা হয় এবং ফটোসেশনের পর সম্মানিত কবিগণ স্ব স্ব আসন গ্রহণ করেন।


কবি অনিরুদ্ধ বুলবুলের পরিচালনা এবং কবি জাহিদ হোসেন রনজুর সঞ্চালনায় আসরকবিদের প্রকাশিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শুরু হয়। কবি ফারহাত আহমেদের 'অম্লজান';  কবি খলিলুর রহমানের 'ঐশী আলোর ছটা'  ও  চৈতন্যে ঘূর্ণিঝড়; কবি নায়ার সুলতানা লাবনীর 'আমার আমি'; কবি বিশ্বজিৎ শ্বাসমলের 'মুজিব বলছে' এবং কবি অনিরুদ্ধ বুলবুলের 'যাপনের খেরোখাতা' ও 'মন বাতায়ন' নামক গ্রন্থসমূহের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অতঃপর, পর্যায়ক্রমে, মঞ্চে উপবিষ্ট বিশিষ্ট কবিগণ, বিশেষ অতিথিবৃন্দ এবং প্রধান অতিথি তাঁদের মূল্যবান ও সাহিত্যের দিক নির্দেশনমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। পরিশেষে, বেলা ২-১৫ মিনিটে সভাপতির সমাপনি ভাষনের মাধ্যমে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণ করা হয় এবং উপস্থিত সকলকে দুপুরের খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে আপ্যায়ণ করা হয়।


৩-১৫ মিনিটে কবি বিভূতি দাসের সভাপতিত্বে কবি সম্মেলন ২০২০ এর দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় ভারত থেকে কবি সম্মেলন উপলক্ষ্যে উপস্থিত হওয়া কবি প্রণব লাল মজুমদার, কবি অজিতেশ নাগ, কবি যাদব চৌধুরী, কবি বিশ্বজিৎ শ্বাসমল, কবি পরিতোষ ভৌমিকসহ উপস্থিত সকল কবিগণ একে একে তাদের স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। এভাবে চলে বিকেল ৪-৪৫ ঘটিকা পর্যন্ত। অতঃপর, বাংলা কবিতার পক্ষ থেকে  প্রত্যেক কবিকে  সভাপতি বিভূতি দাস, কবি ফারহাত আহমেদ ও কবি কবীর হুমায়ূন কবিদের স্ব স্ব নামাঙ্কিত মেমেন্টো (সম্মাননা স্মারক) প্রদান করেন।   ৫-৩০ মিনিটে সভাপতির সমাপনী ভাষণের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান সমাপ্তির মাধম্যে বাংলা কবিতার কবি সম্মেলন, ২০২০ -এর মিলনমেলার সমাপ্তি ঘটে।


আমার দেখা 'বাংলা কবিতার কবি সম্মেলন ২০২০'
-------------------------------------------
অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হওয়ার উদ্দেশ্যে ৮-৩০ মিনিটে রওয়ানা দেই, সকাল ১০ টার আগেই অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছতে হবে। পথিমধ্যে ৯ টার কাছাকাছি সময়ে মোবাইলের রিংটোন বেজে উঠে। কবি এম এ সালাম (সুর ও ছন্দের কবি) জানালেন, তিনি জাতীয় যাদুঘরের গেটে উপস্থিত হয়েছেন। অথচ, কাউকে দেখছেন না। কবিকে জানালাম, ৯-৩০ টার আগে যাদুঘরের মুল গেট খুলবে না, দয়া করে, অপেক্ষা করুন। আমরা আসছি। কবি সম্মেলন উপলক্ষ্যে কবিদের আগ্রহ ও উৎসাহ দেখে খুবই পুলক অনুভব করি। আমাদের যে সকল কবিবন্ধুগণ এই অনুষ্ঠানকে সার্থক করে তোলার জন্য দিনরাত ব্যস্ত ছিলেন, তাঁদের শ্রম ও মেধা ব্যয় করেছেন; তা সার্থক বলে অনুভূত হলো।


৯-৩০ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেই দেখি, কবি মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন এবং কবি হুমায়ূন কবির নিবন্ধনকৃত কবিদের তালিকা এবং সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের কুপনসহ টেবিলের পিছনে বসে আছেন। প্রায় ১০/১৫ জন কবি উপস্থিত হয়েছেন এবং একে একে করে আরো অনেকেই উপস্থিত হচ্ছেন। কবি দেলোয়ার হোসেন সিকদার তাঁর আত্মজা মুনিজা হোসেন ঐশী, কবি সুদীপ্তা চৌধুরী তাঁর জন্মদাত্রী কণিকা পোদ্দারসহ হাজির হয়েছেন। এতে বাংলা কবিতার কবি সম্মেলনের মাধুর্য আরো বেড়ে গেছে। কবিগণ এখান থেকে কুপন নিয়ে যাদুঘর কম্পাউণ্ডের ভিতরে অবস্থিত ক্যাণ্টিন থেকে নিজেদের ইচ্ছেমতো কেউ বার্গার, কেউ স্যাণ্ডউইচ এবং সাথে কফি নিয়ে উপস্থিত কবিদের সাথে পরিচিত হয়ে, আলাপচারিতায় মগ্ন হয়েছেন এবং চকচকে হাসিখুশি মুখে সময়গুলো কাটাচ্ছেন। যাদের সাথে বাংলা কবিতার আসরে শুধুমাত্র মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যের মাধ্যমেই পরিচয় হয়েছিলো, তাদের চোখের সামনে দেখে অনেকেই আবেগে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। খণ্ড খণ্ড দলে ভাগ হয়ে সকলেই খোশগল্পে মেতে উঠলেন। আলাপচারিতা ও মুখরতায় ক্যাণ্টিনের সামনের মাঠখানি মনে হলো ছোটখাট আরেকটি আনন্দমেলা।


ঠিক ১১ টার সময় কবি জাহিদ হোসেন রনজু মাইকে ঘোষণা দিলেন, 'প্রিয় কবিগণ, এখনই আমাদের কবি সম্মেলন ২০২০ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আপনার হলরুমের ভেতরে এসে স্ব স্ব আসন গ্রহণ করুন'। ঘোষণা শুনে সকল কবিগণ তাদের মিলনমেলার মধুমাখা আলাপের আপাততঃ বিরতি দিয়ে কবি সুফিয়া কামাল মিলনাতয়নে উপস্থিত হলেন। এরপর, সভাপতি এবং অন্যান্য অতিথিদের আসন গ্রহণের পর প্রথমেই উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে কণ্ঠ মেলান। এরপর, কবি মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন পবিত্র কোরআন থেকে; কবি পরিতোষ ভৌমিক শ্রীমদ্ভগবৎ গীতা থেকে এবং কবি জে.আর. এ্যাগ্নেস বাইবেল থেকে পাঠ করে শোনান।


অতঃপর, পর্যায়ক্রমিকভাবে অনুষ্ঠান চলতে থাকে। উপস্থিত কবিগণ পিনপতন নিরবতা অবলম্বন করে দুপুরের খাবার গ্রহণের আগ পর্যন্ত অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। দুপুরের খাবারের বিরতির সময় আবার শুরু হয় অসমাপ্ত আড্ডার ফল্গুধারা। লাঞ্চের পর বিকাল ৩-১৫ হতে শুরু হয় কবিদের আরাধ্য বিষয়, কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান। প্রথমে ভারত থেকে আগত কবিগণ তাদের অনুভূতি প্রকাশ করাসহ কবিতা আবৃত্তি করেন। এরপর থেকেই বাংলাদেশের কবিগণ একের পর এক মঞ্চে উঠে তাদের কবিতা পাঠ করেন। এভাবেই উপস্থিত হওয়া সকল কবিগণই তাদের স্বরচিত কবিতা সকল কবিবন্ধুদের শুনিয়ে তৃপ্তি লাভ করেন। অতঃপর, সকল কবিকে তাদের স্ব স্ব নামাঙ্কিত স্মারক সম্মাননা (মেমেণ্টো) প্রদানপূর্বক আমাদের এই কবি সম্মেলন ২০২০ এর সমাপ্তির ঘোষণা দিতে হলো।


অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়ে গেছে। তবুও, কবিদের আনন্দের রেশ যেন শেষ হতে চায় না। সে-ই ছোটগল্পের মতো- ''শেষ হয়েও হইলো না শেষ''; আবার শুরু হয় কবিদের মাঝে আড্ডা। এক সময় পরস্পর পরস্পরের প্রতি শুভ কামনা ব্যক্ত করে বিদায় নিলেন।


উপস্থিত কবিবৃন্দ-
সর্বকবি,
০১। অজিতেশ নাগ;
০২। বিভূতি দাস;
০৩। বিশ্বজিৎ শাসমল (স্বপ্নচর);
০৪। পরিতোষ ভৌমিক (অমায়িক কবি);
০৫। যাদব চৌধুরী;
০৬। প্রণব লাল মজুমদার;
০৭। মোঃ বুলবুল হোসেন;
০৮। দেলওয়ার হোসেন শিকদার;
০৯। ফারহাত আহমেদ;
১০। কবীর হুমায়ূন;
১১। মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন;
১২। মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান;
১৩। রুনা লায়লা;
১৪। রুহান;
১৫। অনিরুদ্ধ বুলবুল;
১৬। মোঃ জাহিদ হাসান;
১৭। জাহিদ হোসেন রনজু;
১৮। হুমায়ূন কবির;
১৯। অবিরুদ্ধ মোহাম্মদ;
২০। মাহফুজুর রহমান (মাফুজ);
২১। শব্দ মাধুকরী (আরিফুল ইসলাম);
২২। আলমগীর সরকার লিটন;
২৩। সরদার আরিফ উদ্দিন;
২৪। মুহাম্মদ রুহুল আমীন;
২৫। আফরিনা নাজনীন মিলি;
২৬। আফরোজা খাতুন;
২৭। মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান;
২৮। উত্তম চক্রবর্তী;
২৯। লীনা জাম্বিল;
৩০। মিনু গরেট্টী কোড়াইয়া (বৃষ্টিরানী);
৩১। সুদীপ্তা চৌধুরী;
৩২। শ. ম. শহীদ;
৩৩। নায়ার সুলতানা লাবনী;
৩৪। হাকিকুর রহমান;
৩৫। খন্দকার সিরাজুল হক;
৩৬। মোঃ হাবিবুর রহমান বাবলু;
৩৭। খলিলুর রহমান;
৩৮। শরীফ নবাব হোসেন;
৩৯। এম নাজমুল হাসান;
৪০। রবিউল হাসান;
৪১। মোজাহারুল ইসলাম চপল (প্রসূন কবি);
৪২। আজহারুল ইসলাম আল-আজাদ;
৪৩। পলাশ দেবনাথ;
৪৪। লতিফুর রহমান প্রামানিক;
৪৫। রেজাউল করিম পলাশ;
৪৬। শামীম উল্লাহ;
৪৭। মনোয়ারুল আলম;
৪৮। সোহেল আহমেদ আলভী;
৪৯। বেগম সেলিনা খাতুন;
৫০। সৈয়দ নিলয়;
৫১। মোঃ রাসেল রানা;
৫২। ফরিদ হাসান;
৫৩। মহিউদ্দিন হেলাল;
৫৪। হামিদা আক্তার;
৫৫। সোহেলী পারভীন ছবি;
৫৬। সাইদ খোকন নাজিরী;
৫৭। এ এইচ জি সোহাগ আহমেদ (চাঁছাছোলা);
৫৮। মোশারেফ ঢালী;
৫৯। জে. আর. এ্যাগ্নেস;
৬০। তাইবুল ইসলাম (বিষ পিঁপডে়);
৬১। সনেট সেন্টু এবং
৬২। এম,এ, সালাম (সুর ও ছন্দের কবি)।

বাংলা কবিতার কবি সম্মেলন ২০২০ -কে অত্যুজ্জ্বল আলোকে উদ্ভাসিত করে তুলেছেন বাংলা কবিতা ওয়েবসাইট-এর এডমিন জনাব আশফাকুর রহমান পল্লব তথা কবি পল্লব আশফাক-এর মা জনাব হেলেনা খানম এবং পিতা মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের উপস্থিতি। আমরা তাঁদের সুস্থতার সাথে দীর্ঘায়ু কামনা করি।          


বাংলা কবিতা তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছে; যারা তাদের শ্রম ও মেধা দিয়ে বাংলা কবিতার কবি সম্মেলন ২০২০- এর আয়োজনকে সার্থক করে তুলেছেন। তারা হলেন- সর্বকবি, অনিরূদ্ধ বুলবুল; ফারহাত আহমেদ; আফরিনা নাজনীন মিলি; নায়ার সুলতানা লাবনী; রুনা লায়লা; মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন; সোহাগ আহমেদ (চাঁছাছোলা); হুমায়ূন কবির; উত্তম চক্রবর্তী; জাহিদ হোসেন রনজু ও অন্যান্য।


এই কবি সম্মেলন ২০২০ সুষ্ঠু ও সার্থকভাবে সম্পাদনে, যার অবদানের কথা বিনম্রচিত্তে স্মরণ করছি, তিনি হলেন আমাদের আসরের কবি ফারহাত আহমেদ। তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে কবি সুফিয়া কামাল মিলনাতয়নের ভাড়া পরিশোধ এবং 'বাংলা কবিতার কবি সম্মেলন ২০২০' উপলক্ষ্যে কবিদেরকে প্রদত্ত মেমেন্টোসমূহ  উপহারস্বরূপ প্রদান করেছেন।