'বই পড়ো', 'বই পড়ো' বলে যান পণ্ডিতে,
পিছে পড়ে থেকো নাকো আঁধারের গণ্ডিতে।
এ্যারাবিক 'ওহি' থেকে বাংলায় 'বহি' হয়,
'ওহি' আর 'বহি' এক; জেনে নিও নিশ্চয়।
বহি থেকে বই আসে জ্ঞানদ্যুতি জাগ্রত,
তুমি যদি পড়ো বই নিতি হবে উন্নত।
প্রথমে যে বাণী ছিলো মুহম্মদে আল্লার,
'পড় তুমি' পৃথিবীতে নাম নিয়ে স্রষ্টার।
আল্লা যে অদ্বিতীয়, তিনি তো মেহেরবান,
কলমের দ্বারা তিনি দান করে বিজ্ঞান।
বই পড়ে হওয়া যায় সুদক্ষ কর্মেতে,
এ রকম কথা আছে কোরানের মর্মেতে।
দোলনার দোল থেকে কবরের দেশ তক,
বই পড়ে যাও তুমি, হে মানুষ, শেষতক।


মানুষের সভ্যতা প্রযুক্তি-জ্ঞান যত,
বইয়ের মাঝে থাকে স্থির সাগরের মত।
জীবনের সফলতা অর্জন চাও যদি,
বই পড়ো মনোযোগে নির্জনে নিরবধি।
মিটাইতে চাহো যদি সাধ, জ্ঞান-তৃষ্ণার,
বইয়ের সাথে তবে একাত্ম দরকার।
ভ্রমণেতে বাসে ট্রেনে দুপুরের আলস্যে,
জীবনের প্রয়োজনে বই পড়ো শুয়ে-বসে।
আমাদের এ জীবন খুব ছোট, জানি সবে,
জানি নাতো চলে যাবো কেবা পরপারে কবে।
এর মাঝে জীবনের যতটুকু কাল পাই,
মৌমাছির মতো মধু আহরণ করে যাই।
যদি সুখ সম্পদ পৃথিবীতে পেতে চাও,
ভালো ভালো বইগুলো মন দিয়ে পড়ে যাও।


মানসিক চাপ হ্রাসে বই পড়া ছাড়বে না,
যোগব্যায়ামের কোন দরকার পড়বে না।
আমাদের স্বাস্থ্যকে সুস্থতা দিতে ভাই,
বই পড়ো মনযোগে বিকল্প তার নাই।
একখানা ভালো বই প্রশান্তি নিয়ে আসে,
মুহূর্তে নিয়ে যায় অজানার কোন দেশে।
যেখানেতে ভিন দেশে শান্তির ফোয়ারায়,
ফুলদল নেচে যায়, পাখি সব গান গায়।
যত বেশি ভালো বই পড়ো তুমি বারবার,
ততো বেশি বেড়ে যাবে শব্দের ভাণ্ডার।
শব্দের ভান্ডার কবিদের সম্পদ,
অর্জন করে নাও বই পড়ে ঝটপট।
আত্মার বিশ্বাস চাও যদি বৃদ্ধির,
বই পড়ে আত্মাকে করো তুমি ধীরস্থির।


পৃথিবীটা নিশ্চুপে ঘুরিতেছে চারিদিক,
সূর্যটা ঘুরছে যে তার পথে ঠিক ঠিক;
চাঁদটা যে ঝুলে আছে আকাশের মাঝখানে,
সাগরের পানি বাড়ে চন্দ্রের দর্শনে।
এ কথার সত্যটা জানবে যে বই পড়ে,
যদিওবা রও তুমি শুয়ে-বসে নিজ-ঘরে।
বই পড়ো, বই পড়ো বলে যাই বারবার,
বইয়ের মতো খাঁটি বন্ধু যে নেই আর।


২৮/০৩/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।