বৈশাখ এলো, বৈশাখ এলো উন্মাদনা প্রাণে,
বটতলা আর টিএসসি যে জাগলো গানে গানে।
''এসো, হে বৈশাখ! এসো, এসো...''
রুদ্র ধরার রূপবতী এ বাংলা ভালোবেসে
এসো, ঝড়ের তাণ্ডবে এই শ্যামল বাংলাদেশে।
করবো বরণ তোমাকে আজ মঙ্গল শোভাযাত্রায়,
গানে গানে, প্রাণে প্রাণে তাই বুঝি মন কাৎরায়।


পান্তা খাবো, ইলিশ খাবো, ভর্তা খাবো আরো
নৃত্য-গীতে উল্লসিত, ভয় নেই আজ কারো।
চিংড়িভর্তা, আলুভর্তা, শুটকিভর্তা, ইলিশ,
পেঁয়াজ এবং কাচালঙ্কা সাথে দু'টোই দিস।
মাটির থালা- সানকিতে যে পান্তা অনেক জোস!
একদিনেরই বাঙালি আজ মনেতে তাই খোশ।


পান্তা-ইলিশ ব্যবসায়ীরা জোট বেঁধেছে জোট,
খাওয়ার পরে পকেট কাটে হাজার টাকার নোট।
বোশেখ এখন আনন্দ নয় ব্যবাসায়ীদের খেলা,
স্পন্সর আর প্যাটি নেতার লাভালাভের মেলা।
আনন্দটা কিনতে গিয়ে পকেট হয় যে খালি,
তবুও চলে হৈ হুল্লুর, শূন্য হাতের তালি।
বোশেখ এলো, বোশেখ এলো, উদ্দিপনা জাগে,
শুদ্ধচেতন লাভের আশা হয় না অনুরাগে।


১৪/০৪/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।