এ মিলনের জংসন ধ্বংস হবে, সমাপন হয়ে যাবে,
সেই অনন্তের পথে নিয়মের রথে সকলে হারাবে,
যতো মানুষেরা আসে এই ধরণীতে,
সময়ের শেষে তারা চলে যায় নিগূঢ় নিয়ম রীতে;
তাহাদের মতো করে আমিও একদিন অনন্তরে
চলে যাবো চিরতরে, অতল গহ্বরে...


এই যে তটিনী, অরূপ সুন্দরী স্রোতস্বিনী- তার কালো জল,
এই গন্ধবহ বাউল বাতাস- বয়ে যাচ্ছে অনর্গল,
অখণ্ড সূর্যের তাপে শ্যামলিমা বৃক্ষ জাগে,
বৃষ্টির জলের ধারা ফলায় ফসল প্রকৃতির অনুরাগে।
সব কিছু ধ্বংস হবে, তোমার ও আমার মতো,
অন্তহীন কৌতূহলে সেই পথে চলেছি যে অবিরত।


দুরূহ কাজের ভার আহ্বান করেছে কোন সে কবি,
অনন্তের পারে বসে তিনি দেখে যান সবই,
কতো লোভীরা এনেছে ধরণীর বুকে নরকের ছায়াছবি,
সকলেই দেখে যান, জ্ঞানময় শক্তিমান্‌ কবি!
অর্থ-মোহে মত্ত যারা, শোণিত আনিছে বয়ে,
ধ্বংস করে এ সুন্দর ধরা হিংসা-কাতর হয়ে।
তারাও চলে যাবে অনন্তের পথ ধরে
অন্ধকারে, দূরে বহুদূরে।


তৃপ্ত সুখের পরশে প্রাণ শিহরিত হয় জানি,
শান্ত প্রকৃতির মাঝে প্রেমময় তুমি করে যাও কানাকানি।
সুখের টুকরোগুলো ঝন ঝন বাজে এক অমৃতের বাণী।
প্রজাপতি উড়ে যায়, গোধূলি লগ্নের রথে,
তারা ছবি আঁকে যেন আমার পরাণে শ্যামল গাঁয়ের পথে,
মান অভিমান নিত্য খেলে এ জীবনের দ্বৈরথে।


২৬/০১/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।