‌‌আজ সবে তোমাকে বন্দনা করে, জাগ্রত কবি হে!
ব্রতকথা ঋষির মতোন শ্রদ্ধায়, সম্মানে, প্রেমে।
ঋতুরাজ বসন্তের কোন এক মাহেন্দ্রক্ষণের
আলো জ্বেলে, উদ্ভাসিত মর্ত্যলোকে তুমি এসেছিলে,
আমাদের এ রংহীন জীবনের শ্যামল বাংলাতে;
চিরবঞ্চনার কৃষকের দেশে, শতবর্ষ আগে।
তোমাকে বন্দনা করে ক্ষুধার্তের শাক-ভাত-নুন,
হেমন্তের লাল চা'ল,  কামারের ঝলসিত পেশী,
মাটিগন্ধী কুমোরের হাড়ি-সরা, জেলেদের জাল,
হিজল বনের ছায়া, রবীশঙ্করের বাংলা ধুন।


আজ নেচে উঠে নদী, ধান ক্ষেত, হিজল কিশোরী,
তরঙ্গায়িত উত্তাল, ফেনায়িত বঙ্গোপসাগর,
চিম্বুক-চূড়া, সোমপুর বিহার,  লাঙ্গলের ফলা,
সোনালি ধানের শীষ, বুনোফুল, হাওরের জল;
মুক্তিকামী মানুষেরা অরণ্যের আশ্চর্য মঞ্জরী
ভেবে বিদীর্ণ রাত্রিতে নীলিমার অপার সৌন্দর্যে
রাত-জোনাকির আলো জ্বেলে, বসন্তের ফুলে আজ
তোমাকে স্মরণ করে; বাঙালির চিরায়ত কবি।


১৭/০৩/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।