চন্দ্রবালিকা, আকাশের গায়ে আধখানি চাঁদ!
শিহরণ তোলা তোমার নয়নে বিদ্যুৎ খেলে।
নিশানা হারানো পথিকের মতো কবির হদয়
স্বপ্ন-তুলিতে রামধনু থেকে সাত রঙ নিয়ে,
মাধুরী মিশিয়ে ছবি এঁকে যায়;
নীলাভ আকাশে দোল-পূর্ণিমা বসন্ত রাতে।
দরোজা বন্ধ, কপাটে ঝোলানো সন্দেহ-তালা!
মরিচা ধরেছে দেহ জুড়ে তার।
খরচোখে নামে বিস্ময়ধারা!
নবীন প্রেমের উৎসুক প্রাণে শিহরণ জাগে,
দর্শনে সেই শ্যামতনুলতা  দু'নয়ন ভরে।


চন্দ্রবালিকা! খিল খুলে এসো,
আগুন জ্বলুক হিম শিশিরের পৌষের রাতে।
তোমার শরীরে বিদ্যুৎ জ্বালা! জ্বলন্ত মোম!
বিসারিত চোখে অপলক চায় দূরের পথিক।
আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টির ধারা নেমে আসে আজ
ঘন বর্ষার ছল নিয়ে মনে;
উন্মুখ হয়ে সুখ ছোঁয়া খুঁজি প্রান্তরময়।


চন্দ্রবালিকা! চোখ মেলে দেখো,
রূপালী বালক অবহেলা করে স্বর্গীয় সুখ,
গন্ধম খায়- নিয়ম ভাঙার নিষিদ্ধ ফল!
তিমিরপঙ্ক জলের ভেতরে পদ্মফুলের আকুল বাসনা
খেলা করে তার সুপ্ত হৃদয়ে।
চন্দ্রবালিকা!
আভরণহীন শিশিরসিক্ত ধীর পায়ে এসো,
সৌরকক্ষের নন্দিত গ্রহে।
জ্বেলে দাও আলো গুহার ভেতরে;
অন্ধকারায় যত পাখি আছে, যত সুর আছে,
যত জল আছে, যত সুধা আছে, থরে ও বিথরে;
তুমুল হর্ষে নেচে যাক তারা, প্রাঞ্জলতায় হৃদয়ের সুরে,
জোয়ারে ভাসুক স্থবির ধরণী প্রাণের মায়ায়।


১৩/০৫/২০২০
মিরপুর, ঢাকা।