জীবনানন্দের মতো বলতে পারি না আজো-
পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে হাজার বছর ধরে।
ক্লান্ত, অবসন্ন আমি; পড়ন্ত বেলায়
এই যাপিত জীবনে ঝঞ্ঝাবর্ত সাগরের জলে
ক্রমাগত ডুবে যাওয়া মানুষের মতো
খড়কুটো খুঁজে যাই পৃথিবীতে বাঁচার চেষ্টায়।


দুঃখের যন্তণাবিদ্ধ দীর্ঘ পথ গন্তব্যহীন,
অজস্র দুঃখের মাত্রা প্রতিদিন বেড়ে যায় ক্রমে,
বেড়ে যায় জীবনের অপমানের করুণ গ্লানি।
তবুও, চেয়েছি আমি ঝঞ্ঝাবর্ত দিবসের শেষে
রৌদ্রময় আলোকিত উজ্জ্বল দিনের ঝলকানি;
প্রেমের রসায়নের অতুল প্রবল বরিষণ-
এই মানুষ জীবনকে স্পর্শ করে না যা,
এমনই অদ্ভুত প্রেম চাই প্রিয়তির কাছে।


রঙ বদলানো এই আধুনিক মানুষের যুগে,
টলায়মান জগতে, আশ্চর্যরকম অদ্ভুত সময়ে,
পৃথিবীর সমাজের প্রতিজন মানুষের মাঝে
দর্পময় জীবনের ঘোর অস্থিরতা বয়ে যায়।
এরই মাঝে, তোমাতে করেছি করুণ মিনতি,
হে প্রিয়তি!
কণ্টকাকীর্ণ গভীর গহ্বরের অন্ধকার থেকে
হাত বাড়িয়ে দিলেম অমানিশা রাতে।
দীপশিখা আছে নাকি, তোমার নিকটে!
দয়া করো, দয়া করো, হে করুণাময়ী!
এ মানুষ-জীবনের তুমুল সংঘাতে।


২৩/১১/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।