বৈশাখ এসে ডাক দিয়ে যায়, আয় ছুটে আয় মর্ত্য-লোক,
জরা-জীর্ণতা ছেড়ে ক্ষুদ্রতা শুচিতা লাভের শর্ত হোক।
ভালোবেসে মাটি মন হোক খাঁটি অতীত-শোচনা দূরেতে থাক,
ভৈরবী রাগে সেতার বাজিয়ে পবিত্র সুরে গীত ছড়াক।
পান্তা-ইলিশে দেশ ভরে গেছে চেতনা সকল হয়েছে লোপ,
অধুনা কবির সাধ জাগে, তাই দাড়িহীন মুখে রবির গোঁফ।
জীবনের গান হোক অফুরান সুন্দর যতো বহিয়া যাক,
বৈশাখ এসে শুধু ভালোবেসে শুভ্রতাগুলো হৃদয়ে থাক।
ঈশানী বাতাস ঝড় বহে আনে পল্লব প্রাণে সুর বাহার,
বিদ্যুৎ এসে ঝলকিয়ে দেয় অন্ধকারের তুর-পাহাড়।
জল ছলছল করে কোলাহল ঝড়-ঝঞ্ঝার এ ভৈরবী,
জীবনের গানে সম্মুখ পানে দল বেধে চলে নবীন কবি।
ওরে, তোরা আয় বোশেখ মেলায় মোহন চিত্র সাজিয়ে যায়,
পাতার বাঁশিতে জলের নূপুরে বৃষ্টি-ধারায় বাজিয়ে যায়।
শহরে ও গ্রামে শ্যামল বারতা নবীন পত্রে লুটিয়ে পড়ে,
হাসি ঝলমল রোদ উজ্জ্বল এমন দিবসে কে রয় ঘরে?
আজিকে জেগেছে প্রাণে উচ্ছ্বাস উতল প্রাণের এ বৈশাখে,
হাসে খলখল ঝরে অবিরল অমল বিলাস হৃদয়ে থাকে।
এসো, শ্যাম বনে, ঘন বরিষণে জল তাণ্ডবে ভাসিয়ে সব,
এই বৈশাখে নবীনে প্রবীণে প্রাণের গহীনে হোক উৎসব।


১৪/০৪/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।