বৈশাখ! কেমন আছো, এ করোনা কালে?
অগণন মানুষের আনন্দ-উৎসবে,
লালপাড় সাদাশাড়ি, রঙিন পাঞ্জাবী;
হাসিখুশি শিশুমুখে মেলার আমেজ
নিয়ে, এ প্রাণ রাঙিয়ে ওঠে না আর।
সন্ত্রস্ততা ঢেকে রাখে মন ও মনন;
শহরের রাস্তাঘাট, অলিগলি যতো,
সবকিছু ম্রিয়মান, মর্মভেদী শান্ত।
বৃষ্টিতে ভেজা কাকের মতো, মানুষেরা
জুবুথুবু পড়ে আছে। এ পাড়া, ও পাড়া
লকডাউনের আইনের মারপ্যাঁচে,
অন্ধকারে; একা একা, ভীষণ একেলা।
মেলা নেই কোন গ্রামে এবং শহরে,
নেই হালখাতা আর আনন্দ উৎসব।
এক অরাজক বিষন্নতা ঘিরে আছে
আমাদের আসমান; আনন্দ-সময়।


রমনার বটমূল, টিএসসি, ডাস,
চারুকলা, শাহাবাগ, দোয়েল চত্বর
নীরর নিস্তব্ধ আজ। যেন কোনকালে
এখানে হতো না প্রাণোচ্ছ্বলের উৎসব।
লক্ষ মানুষের আনাগোনা, হৈ-হুল্লর,
মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বেল নৃত্যের
আনন্দ, আল্পনা আর সুরসঙ্গীতের
আবাহন নেই। এ করোনার দুর্যোগে
মানুষের সমাগম বন্ধ করে দিতে,
ফটকের ঝাপগুলো আজ বন্ধ রাখে
ইউনিভার্সিটির যথাযথ কর্তপক্ষ।
হায়, কী অদ্বুত! এই নিয়ম-কানুন।


ঘুর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে এসো হে বৈশাখ
আকাশে উড়িয়ে দাও মানুষের লোভ-
লালসা ও ক্ষুদ্রচিন্তা, দীনতা, হীনতা।
আর এই করোনার বিষাক্ত জীবানু
বয়ে নিয়ে যাও তুমি বহু দূর পথে
আমাদের নিঃশ্বাসের স্পর্শের বাহিরে।


১৬/০৪/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।