ব্যথাতুর মন করে ক্রন্দন পুড়ে পুড়ে অঙ্গার,
অকূল আঁধারে জীবন পাথারে করে যাই হাহাকার।
        অরূপের রূপ মনে আনে সুখ,
       কাছে পেতে তারে হই উন্মুখ;
জড়তা কাটিয়ে দৃঢ়তা বাড়িয়ে তুলি সুর-ঝংকার;
পরিচিতজন করে নিস্বন বলে যে, 'কুলাঙ্গার'!


রঙ্গমঞ্চে মোহ-প্রপঞ্চে অবিরাম খেলা চলে,
সুজনবিহীন কাটে প্রতিদিন জঙ্গম মহীতলে।
        নাই কি রে সুখ ধরণীর বুকে,
        ক্ষণিকের তরে জাগিতে পুলকে!
রোমাঞ্চতায় নব বারতায় সুনিপুণ কৌশলে?
আশায় আশায় দিন কেটে যায়, ভাসছি অশ্রুজলে।


চুপচাপ থাকি লজ্জায় ঢাকি আপনার মুখখানি,
জগত জীবনে উজান পবনে ছুটে চলি দাঁড় টানি'।
        চাঁদের আলোকে ফিনকি ছড়ায়,
        চমকে ঝলকে ছলকে হারায়;
নিঃসঙ্গতায় কেঁদে কেঁদে যাই, নয়নে গড়ায় পানি;
জল-তরঙ্গ যেন অনঙ্গ দোলায় যে তরীখানি।


জল ছলছল করে কোলাহল ডুবুডুবু তরী প্রায়,
অন্তর শোনে বায়ুর শ্বসনে কানে কানে বলে যায়-
        নশ্বর ভূমে মিথ্যে সকল,
        পরাভূত হবে, হবে রে বিকল;
যা কিছু সত্য সে-ইতো নিত্য; চিত্তে সুখ বহায়;
প্রপঞ্চ খেলা করে অবহেলা ফিরে আয়, ফিরে আয়।


১১/০৩/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।