মহাকালের প্রান্তরে আমাদের সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার
করা আছে- মানুষেরা ফুঁসে উঠবেই অন্যায়ের প্রতিরোধে।
তারা সম্মিলিত হবে তীব্র তেজে; প্রেম আর ভালোবাসা মেখে,
মজলুম যত পৃথিবীতে অধিকার আদায়ের গভীর প্রত্যয়ে।
অত্যাচারী শাসকের পর্বত সমান অনাচারসমূহের
আঘাতে আঘাতে লাঞ্ছিত প্রাণের মানুষের চেতনায়
জেগে উঠবেই বজ্রানলের তীব্রতা। অকস্মাৎ পুড়ে যাবে,
উড়ে যাবে ক্রন্দসীর তুমুল স্পন্দিত ঝড়ের আঘাতে
তুলোর মতোন জালিমের তখতাউস, হীরকখচিত তাজ।
মুখোশের আড়ালে যতোই ছলাকলা করুক না কেনো,
পাপের চাদরে ঢাকা অন্যায়ের সমূদয় ক্রিয়াকর্ম
ভেঙ্গে দিতে, অবিচল ন্যায়ের বিশ্বাসে যে সকল মানুষেরা
দৃপ্ত পদে অকুতোভয়ে এগিয়ে যায় এ পুণ্যভূমিতে-
বাংলাদেশের সে সকল অমৃতের সর্বহারা সূর্য সন্তানেরা
সর্বময় ক্ষমতায় অধিকারী হয়ে জন্মভূমির শাসন করবেই।
'আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না'
এ অমর কবিতার অমৃত শ্লোগান হোক-
               প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের শাশ্বতিক উচ্চারণ।
তুমি যদি ভয় পেয়ে ফিরে যাও বন্ধু! তবে, তুমি শেষ,
বুকে জ্বালো প্রচণ্ড বিদ্যুৎ শিখা, তুমিইতো বাংলাদেশ!


৩১/০৭/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।