কাব্যে কোরআন (সুরা আল বাকারাহ-১৪) আয়াত নং- ১০২-১১২


আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করিলাম,
দয়ার আধার যিনি করুণার ধাম।
×××××××××××××××××


সুলাইমান বাদশার সময়ের কালে,
আবৃত্তি করিতো যাহা শয়তানের দলে।
তারা সবে যাদুবিদ্যা শিখিত বাবেলে,
কুফরি আর কুকর্ম করিতো সকলে।
শিক্ষা দিতো যাদুবিদ্যা খোদাভীরু জনে,
বলতো, বড়ো যাদুকর নবী সোলাইমানে।
এমন যাদু শিক্ষা দিতো স্বামী-স্ত্রীর ভাবে,
বিচ্ছেদও ঘটে যেতো যাদুর প্রভাবে।
মোত্তাকীন যারা ছিলো আনিয়া ঈমান,
তাহাদের কাছে আল্লা পাঠালো কল্যাণ।
হারূত মারুত নামে ফেরেস্তা দু'জন,
পাঠালেন রব্বানায় ধরাতে তখন।
'কাফের হইও না মানুষ', তারা যায় বলে,
'যাদুবিদ্যা অতি মন্দ গেঁথে রেখো দীলে।
খোদাভীরু হলে তবে ভালো প্রতিদান,
পাবে তুমি আখেরাতে অনেক কল্যাণ'।
ঈমান এনেছে যারা পৃথিবীর মাঝে,
সুখে ও শান্তিতে তারা রহে প্রতি কাজে।
কিতাবী ও মুশরিক, কাফেরেরা সবে,
গ্রহণও করিলো না সে কল্যাণ ভবে।
শক্তিমান আল্লাতালা তিনি সর্বময়,
মানুষের এ বিষয়ে জানা সোজা নয়।
আকাশে জমিনে যাহা অধীনেতে তাঁর,
আল্লাতালা ব্যতিকেরে কেহ নাহি আর।
নেই কোন বন্ধুজন সাহায্য করার,
আল্লাতালার সর্বশক্তি জীবন ও মারার।


সত্য কথা প্রমাণীত হলো তা যখন,
নাফরমান কিতাবী হয় ঈর্ষাপরায়ণ।
ইহুদি-খৃষ্টানে বলে, তাহাদের ছাড়া,
বেহেস্তে যাবে না কেহ কয়ে বেড়ায় তারা
অলীক বাসনা তাদের বড়ো অহঙ্কার,
সৎকর্মশীল যারা পাবে পুরস্কার।
আল্লা বলে সকলেরে, নামাজ পড়ে যাও,
হিসাব মতো সম্পদের যাকাত দিয়ে দাও।
উত্তম কর্ম তাহা জেনো, পাবে প্রতিফল,
নিশ্চয় আল্লা জানেন গোপন সকল।
পালকের কাছ হতে পাবে পুরস্কার,
স্বর্গ-নরক, মহাবিশ্ব সকলই যে তার।


০৬/০৭/২০১৯
মিরপুর, ঢাকা।


বিঃদ্রঃ- এ লেখা পবিত্র কোরআন শরিফের কাব্যিক অনুবাদ নয়; কোরআনের ভাব, কথা, উপদেশ, ঘটনা ইত্যাদি বিষয়াবলীকে কাব্যে প্রকাশ মাত্র। ভালোবাসা প্রতিজন পাঠকের প্রতি।