কবির দৃষ্টি ঝরায় বৃষ্টি, সৃষ্টি করে উল্লাসে,
শিশির বিন্দু হয় যে সিন্ধু হেমন্তপ্রভাত ঘাসে।
           অন্তর হতে অন্তরে,
           কবির হৃদয় সন্তরে;
           যখনতখন মন উচাটন
           ঘোর জ্বালাতন কবির জীবন,
তবুও সে মোহের তরে লোভে পড়ে,
              দেয় না কভু পাল্লা যে।
কবির দৃষ্টি করে সৃষ্টি আস্তাকুঁড়ে গোলাপফুল,
সত্য মিথ্যায় বিভেদ ঘুচায় অনিন্দ্যতায় হয় অতুল।
কবির অক্ষি যেন মক্ষী- লক্ষ হাজার চক্ষু তার!
            অন্তর্দৃষ্টির প্রখরতায়,
            অনাসৃষ্টি রদ হয়ে যায়।
বিশ্বমাঝে সকল কাজে হয় যে কবি চমৎকার!
বাবড়িচুলে হেলেদুলে কবি চলেন দীঘল পথ,
        রূপের বাহার কেশ ধরে তার  
         নবীন কবি হাজার হাজার
                    সাথে সাথে যায় যে হেঁটে।
সঙ্গীসাথী-
পিঁপড়ে থেকে বিশাল হাতি,
              চায় যে কবির সহবত।
কবির নামে ছবি আঁকে চিত্তকমল অমল নয়,
কংস রাজার বংশ হলে কেবা তারে কবি কয়?


২৮/১০/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।