রহস্যময় ভালোবাসার একটি নাম- কবিতা।
স্বস্তির আস্বাদ, সুখের ছোঁয়াচ, একটু নিবিড় শান্তি,
কবিতার মতো আর কেউ দিতে পারে না।
কবিতা একটি নান্দ্যনিক বোধের শিল্প!
অনিন্দ্য ভাষার নদীর পাড়,
বিস্ময়কর কথার শিল্পিত ঝংকার,
প্রাণকাড়া আবেগের অনন্য উৎসব।
বৈচিত্রময় ভালোবাসার মতো
এখন কবিতাও একটি গবেষণার বিষয়।
যদিও কেউ কেউ আবর্জনার ছাইপাশ ভেবে,
সময়ের অপচয় মনে করে
কবিতাকে ছুঁড়ে দেয় আস্তাকুড়ে।
তবুও, কবিতা টিকে আছে সগৌরবে,
অনিঃশেষ পরীক্ষানিরীক্ষা নিয়ে,
কৃতিত্বের গর্ববোধে সৃষ্টির প্রথম থেকে।


কবিতাকে যদি বলি, মহত্তম শাখা এক,
আবহমান সংস্কৃতির; অত্যুক্তি হবে না।
ভাষাভিত্তিক শিল্পের প্রথম পদক্ষেপ- কবিতা,
সীমাহীন বৈচিত্রের স্বাপ্নিক দ্যোতনা- কবিতা,
মানুষ মনের আবেগের পরম্পরা প্রকাশের
আদিমতম শাখার নাম কবিতা।
কবিতাকে রূপে গুণে সুন্দর রূপ দেবার জন্য,
তাকে সার্বজনীন মহিমান্বিত করার জন্য,
প্রজন্মান্তরের কবিগণ ক্রিয়শীল সব সময়
চেতনে-অবচেতনে, কল্পনাতীতভাবে।
এ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়
কবিরা পরিহার করেন দুর্বোধ্য কবিতা,
ক্রমে শুদ্ধ কবিতার দেশে বাড়ায় পদচারণা,
শব্দে ছন্দে ভাবে, মননের অভ্যন্তরে।


মানুষেরা মেধাচর্চা করে কেনো কবিতা লেখেন?
আর, কেনইবা তারা কবিতা পড়েন?
এবং কবিতা শোনেন কেনো?
এ সকল প্রশ্নের উত্তর মেলা ভার!


কবিতা যেভাবেই আসুক না কেনো;
মাতৃভাষাসূত্রে প্রাপ্ত কৃতিত্বের অংশীধার এ কবিতা।
স্পন্দিত গানের মতো শব্দের ঝংকার-কবিতা,
প্রাণকাড়া সুরের মতো ঢেউয়ের লহরী- কবিতা।
তাল-লয়, চলনে-বলনে, ঠমকে-জমকে
পাঠকের হৃদয়ের মাঝে আন্দোলন তোলে- কবিতা।
প্রগাঢ় আন্তরিকতায়
দর্শনচর্চার তুমুল দ্যোতনার নাম কবিতা।
অনন্য চিত্রকল্পের মাধ্যমে
আন্দোলিত অনুভূতির সুন্দরতম প্রকাশের নাম কবিতা;
পরিণত মনষ্কতার চরম সাফল্যের, স্বস্তির নাম কবিতা।
কবিতাকে উপভোগ করতে হয়
চিত্তের দুর্লভ প্রশান্তি প্রাপ্তির অভিলাষে,
বোধের মস্তিষ্ক দিয়ে।


১১/০৯/২০২০
মিরপুর, ঢাকা।