চিরল পাতার বুক জুড়ে আজ ফুটলো কৃষ্ণচূড়া!
আগুন ফোটার ফাগুন শেষের মৌসুমী বায় পেয়ে।
টকটকে লাল ফুলের বাহার নীলাভ আকাশ মোড়া;
সে-ই না রূপের আস্বাদ নিতে পাখপাখালির মেয়ে
হামলে পড়ছে, ডাকছে তারাই কিচিরমিচির স্বরে;
আমার এ মন থাকতে চায় না বন্দিদশার ঘরে।


ভুবন-মোহন হাসির জোয়ার কৃষ্ণচূড়ার রঙে,
আনন্দতার উছল হাওয়ায় ভাসছে চতুর্দিক;
ঘর ছাড়া সব দোয়েল কোকিল শালিক পাখির ঢঙে,
গোমড়া মুখের ঢাকার শহর হাসছে কি ফিকফিক?
আমিও তাদের সঙ্গী হলাম দুঃখ ভোলার গানে,
ভাসিয়ে দিলাম সকল বেদন গুলমোহরের টানে।


কৃষ্ণচূড়ার পরশ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় কি আজ
স্নিগ্ধ হলুদ শাড়ির আঁচল উড়ছে রাধাচূড়ার?
চকচকে রঙ রূপের বাহার নিপুণ কারুর কাজ!
রাধা-কৃষ্ণের হয় না মিলন হৃদয় ব্যথায় ভার।
কবির মনের প্রিয়ার মতোন দুজন দুদিক যায়,
তাই কি মানুষ রাধাকৃষ্ণের বিরহের গীত গায়?


১১/০৫/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।