( মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার 'মা দিবস'। পৃথিবীর সকল মা'কে স্মরণ করে, পৃথিবীর সকল সন্তানের পক্ষ থেকে আমার এই শব্দ-বিন্যাস। যে সকল মা জীবিত আছেন, তাঁদের প্রতি আমরা সদয় হই; আর যে সকল মা ইহলোক ত্যাগ করেছেন, তাঁদের জন্য প্রার্থনা করি- 'হে আল্লাহ! আমার মা'কে তুমি ওই ভাবে রেখো, ছোট কালে তিনি যে ভাবে আমাকে রেখেছেন।'
-----------------------------------------------------------


তোমার দেহের জল সমুদ্রে সাঁতার কেটেছি কতো,
দিবস রাত্রি যুদ্ধ করেছি অবিরাম অবিরত।
দেহের ভেতরে দেহের ওজন দুঃসহ যাতনায়,
কষ্টগুলোকে হাসিমাখা মুখে ধরিয়াছো মমতায়।


দশ মাস দশ দিবসের পরে মর্ত্যে আসিয়া আমি-
কতো জ্বালাতন নিয়ত করেছি সকাল-দিবস-যামী।
হাড় জ্বালাতন সহ্য করেছো মম মুখ পানে চেয়ে,
স্বর্গ-প্রতিমা জননী আমার অরূপ অমল মেয়ে।


সারা দুনিয়ায় তোমার মতোন মানুষী ছিলোনা কেউ,
তোমার বিরহে অন্তরে জাগে অশান্ত এক ঢেউ।
দয়াময় খোদা! ফরিয়াদ করি আমার মায়ের তরে-
করুণা তোমার বিলায়ে দিওগো তাঁহার আঁধার গোরে।


সারাটি জীবন কষ্টে কেটেছে আমার সুখের লাগি,
মায়ের পরাণ সন্তান তরে সব কিছু যায় ত্যাগী।
জগতের মাঝে সেরা অনুদান মায়ের মুখের হাসি-
ওহে দয়াময়! তোমার চরণে ঠাঁই দিও ভেবে দাসী।


আমার গায়ের সকল রক্ত মায়ের রক্ত-কণা,
আল্লার পরে মায়ের স্থান বলেছে আলমপনা।
ওরে দুর্ভাগা! ভুলে যাস কেনো মাতৃ ঋণের কথা!
কে আছে এমন তোরই দুঃখে দেখাবে রে ব্যাকুলতা?


নিজ সুখখানি দূরে রেখে মাতা তোর সুখ কামনায়,
সারা দিনমান কাঁদে অফুরান আল্লার দরগায়।
মাগো, তুমি আজ ক্ষমা করো মোরে শোধিতে পারিনি ঋণ,
দুঃসহ ব্যথা নিয়ত ঝরিছে কাঁদিতেছি প্রতিদিন।


পৃথিবীর সব জননীর হৃদি সুবাসিত ফুল সমা,
অন্তরে তার ভালোবাসা আর অসীম মমতা, ক্ষমা।
আয় দয়াময়! প্রার্থনা করি তোমার কথার কিরা-
'রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানী সাগিরা।'