হৃদয়ের মাঠে ছিলো অতি মোলায়েম
ঘন সবুজ বনানী আদিগন্ত জুড়ে।
বিরহের অনল প্রচাপে ধীরে ধীরে
হয়ে গেছে ধু ধু মরুভূমি।
জলবতী নদী ছিলো হৃদয়ের দেশে,
পরিশেষে, শুকিয়ে গিয়েছে তা-ও;
অবহেলার করুণ প্রখর প্রদাহে।
এইভাবে ক্রমে ক্রমে হলো ম্রিয়মান
জীবনের প্রত্যেক প্রবাহে অঙ্কুরিত আনন্দোৎসব।
তারপর তুমি এলে
প্রখর রোদ্দুরে, নিদাঘ চৈত্রের দাবদাহে
শ্রাবণ মেঘের ঢল নিয়ে
বিশ্ব চরাচার সুরভীত করে।
অলক বালিকা তুমি
দূর আকাশের নীলের ওপার থেকে
বলে গেলে, ভালোবাসি।
ভালোবাসি বৃক্ষের মতোন, পাখির বাসনা নিয়ে,
ভালোবাসি জলের মতোন, মীনের বাসনা নিয়ে।
ভালোবাসা যেন, এক ছোঁয়াচে অসুখ,
ভাইরাসের মতো দ্রুত সংক্রমিত হয়।
আমি বললাম তোমায়, 'ভালোবাসি, হে প্রিয়তি,
তাই, দূরে দূরে থাকি'।
স্নিগ্ধ প্রেমের শ্যামল মিহিন চাদরে ঢেকে রাখি
নিঃসঙ্গতার যন্ত্রণা, কামনার নীল অগ্নিগিরি।
যা কিছু দিয়েছো তুমি
প্রকাশ্যে অথবা গহীন গোপনে সকলের অগোচরে,
ভালোবেসে অকৃপণ হাতে;
সেই সব স্মৃতিকথা আজও রোমন্থণ করি
একা একা নিঝুম নির্ঘুম রাতে।
স্বপ্নেরা বিস্তার করে সুখের পাখা ঝাপটায়,
সে তোমার ভালোবাসা সোহাগী চন্দনে মাখা।


১১/০৩/২০২০
মিরপুর, ঢাকা।