কষ্টের কথা শোনার মানুষ নাই;
তাই, কষ্টেরা মানুষের কাছে
তিক্ত দুখের বিষ নিয়ে আসে
সকলে তখন অন্তিমে যাঁচে
সুখের পরশ নিতি, হর-হামেসাই।


কষ্টকে কভু ডুবাতে চাইলে জলে;
ঢেউ হয়ে সেতো আছড়িয়ে পড়ে
স্মৃতির ফেনায় থরে ও বিথরে
ফল্গুর মতো ছুটে আসে ঘরে
ঝংকার তোলে বিরহীর হিয়াতলে।


অনন্ত ব্যথা সরাতে পারি না আমি;
বন্ধু, পুড়ছি সূর্য-আগুনে
পাগল বলছে মানুষেরা শুনে
দিবসের শেষে সবকিছু গুনে
বুঝে গেছি ভবে সকলই ধার্ষ্টামি।


কষ্টকে যদি বিছাই মৃত্তিকায়;
আদিগন্তের ফসলের ক্ষেতে
হুল্লোড় করে, উৎসবে মেতে
যন্ত্রণা আনে দুইহাত পেতে;
অতঃপর, হাসে বিস্তৃত সীমানায়।


কষ্টকে দূরে ছুঁড়ে দিতে করি ছল!
পাহাড় নেয় না, নেয় না বৃষ্টি
সমুদ্র কয়, এ অনাসৃষ্টি
সকল বিফলে অন্ধদৃষ্টি
হাতড়িয়ে মরে বাঁচিবার সম্বল।


নির্লিপ্তের দরজায় বসে দেখি;
গভীর স্বননে গুনগুন করে
সুখের শিশির টুপটাপ ঝরে
চুপিচুপি আসে এই অন্তরে
বেদনা রহিত সুখের জোছনা, এ কী!


০৯/০৬/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।