অনেক বছর পরে আচম্বিতে মনের ভেতরে
জেগে উঠো তুমি, এ চাঁদনী রাতে।
নির্জন নদীতে যেমন জেগে উঠে হঠাৎ করে
দীঘল স্বর্ণালী কেশের মৎসকুমারী;
গোলাপের মতো চোখ, মায়াময়, অনিন্দ্যসুন্দরী।
মাতাল বাতাসে সুগন্ধ ছড়িয়ে দেয়; রাত্রির আঁধারে।
তখন, সে গন্ধে জেগে উঠে উত্তর আকাশে
দিক নিশানার ধ্রুবতারা।
অপলকে দেখি, নির্জন নদীর তীরে
আমাদের শিশুবেলা। কারণে ও অকারণে হাসে, খেলে,
ছোটাছুটি করে মিহিন বালির বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে।


অন্ধকার ভেদ করে কুড়িয়ে নেবোই তাকে আজ,
পাথরের তলা থেকে, জলের গা থেকে,
বেলাভূমে লুকিয়ে ছিলো যে সকল স্মৃতি,
গোলাপের গন্ধ মাখা কারুময় সুখের মিছিল।
যাকে হারিয়ে ফেলেছি কতোকাল আগে
অর্থের অনর্থময় লালসার কুটিল সংঘাতে।
কিন্তু, হায়!
অনুপম ইচ্ছাগুলো ফসিল হয়েছে আজ;
সে-ই সকল বিষয়াবলী
এখন প্রত্নতাত্ত্বিকের গবেষণার বিষয় মাত্র।
আজন্মের কল্পনার রানী তুমি,
প্রেমের বারতা নিয়ে যুগে যুগে মানুষের প্রাণে
বিদ্যুৎশিখা জ্বালিয়ে যাও।
অন্ধকারে চমকিয়া উঠি, দৃষ্টিতে ফুলকি ছড়াও
তীব্রালোকের ঝলকানী;
কিছুই দেখি না আমি, অন্ধের মতোন হাতরিয়ে যাই।
অতঃপর, নিকষ গহীন অন্ধকারে, আরো অন্ধকারে
ঠেলে দাও আমায় কৃষ্ণগুহার অতল জলের ভিড়ে।


১৭/০১/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।