অনিন্দ্য অনুভূতির ঐকতানে তোমার অরূপ ছবিখানি
ভেসে ওঠে আমার মানসলোকে, এই চরাচরে;
বিশ্বলোকের সৌন্দর্যে অপলকে চেয়ে থাকি।
জ্যোৎস্নারাতের মধুরিমা
নদীর জলের ঢেউয়ে বিচ্ছুরিত;
কোন নিঝুম অরণ্যে ফুটে ওঠে গোলাপের কলি,
সুরভীত করে তোলে সমস্ত পৃথিবী।
সে-ই আদিম যুগের কোন এক নারী
গুহার ভেতরে ফিসফিসিয়ে কথা বলে;
যার হাতে হাত রেখে সারারাত জেগে থাকি,
তীব্র অনুভূতি নিয়ে।
পরস্পর অপেক্ষায় থাকি রাতের আঁধার কেটে
প্রভাতবেলার কোমল স্ফটিক আলো
ছড়িয়ে পড়বে আমাদের মনের চাতালে।


তুমি যেন অলৌকিক অমৃতের বই,
ভুলে যাওয়া দিনের স্মরণীয় ঘটনাগুলো
সুশৃঙ্খলভাবে স্মরণে নিয়ে এসো।
চিরদিনের সারথি হিসেবে চেয়েছিলাম যারে
বাউলের মরমীয়া গানের সুরের তালে;
নেচে উঠে যার দেহ গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহে।
তার স্পর্শ যেন ঠাণ্ডা শীতল বাতাস,
পায়ের নূপুরে জাগে জলের টংকার,
ময়ূরের মতো পেখম ফুলিয়ে দেহবল্লরী নেচে উঠে।
আশার বাসরে নেশার আসর জমাও তুমি;
নিরাশার উত্তুঙ্গ সাগরে আশার দ্বীপের মতো
জেগে উঠো অনন্ত পাথারে।
প্রেমের ঝংকৃত সুরে ছলকিয়া উঠো নয়নের নীরে;
যাকে পাওয়ার পর বুকের গহীনে
পরম সুখের পরশ পাওয়া যায়।


০২/০২/২০২১
মিরপুর,ঢাকা।