ওরা চেয়েছিলো
তোমার পবিত্র নাম মুছে দিতে এই বাংলাদেশে
তোমার সকল কর্ম, চেতনাকে মুছে দিতে। তাই,
কতো চেষ্টা আর তদবির করেছে তারা।
কতো শতবার
কতো উলঙ্গ নষ্টামি করেছে দুর্বৃত্ত!
ওরা আইন করেছে- যেন বিচার না হয়,
ইনডেমনিটি- জংলি দেশের আইন!
এ কেমনতরো অরাজক দেশের আইন!
আমাদের ইতিহাস থেকে
আমাদের মূলমন্ত্র থেকে
আমাদের পরিচয় থেকে
সরে যেতে বলে তারা অদ্ভুত নিয়মে।
তা' কি কখনো হবার কথা?


অস্তিত্বের প্রশ্নে
এ বাঙালি কোনকালে আপোষ করেনি
ভীতুর মতোন তারা প্রাণ ভয়ে পিছনে আসেনি।
লড়ে গেছে বীরের সাহসে
তাঁরা প্রাণ পণ রাখে যুদ্ধের ময়দানে।
বায়ান্নের রক্তরেখা
একাত্তরের দুঃসহ কষ্টকর জীবনযাপন
চেতনবিদ্ধ লড়াকু বাঙালির সাহসী প্রমাণ।


ওরা চেয়েছিলো
এই সবুজ বাংলার ধানক্ষেত থেকে
বহমান নদীজল থেকে
মাটির সোঁদালো ঘ্রাণ থেকে
কৃষকের তীক্ষ্ম কাস্তে থেকে
কৃষাণির মিষ্টি হাসি থেকে
কামার-কুমোর-জেলে-শ্রমিকের দৃপ্ত পেশি থেকে
তোমার পবিত্র নাম চিরতরে মুছে ফেলে দিতে।


ওরা কি জানে না
পৌরানিক সেই ফিনিক্স পাখির কথা?
বারবার জেগে ওঠে অসীম সাহসে
রক্তবিন্দু থেকে
বারবার পেয়ে যায় স্নিগ্ধ অমরতা।
তুমি আমাদের অমিত ফিনিক্স পাখি;
রুদ্ধ চেতনার ঘরে করো ডাকাডাকি।


ওরা চেয়েছিলো
কুটিল মন্ত্রণা করে
ফেলে দিতে আস্তাকুরে তোমার চেতনা,
তোমার বিশ্বাস, প্রেম-ভালোবাসা মানুষের প্রতি।
কিন্তু ওরা কখনো জানে না
মৃগনাভির সৌরভ লুপ্ত হয়ে থাকে না কখনো।
স্বমহিমায় ছড়িয়ে পড়ে
বিস্তৃত ভুবন জুড়ে আকাশে বাতাসে।


ওরা চেয়েছিলো
মানুষের মন থেকে তোমাকে ভোলাতে।
ওরা তা পারেনি
হে আমার পিতা,
বাঙালি-জাতির স্তম্ভ
চেতনার ঘরে তোমার নাম খোদাই করা।
কখনো কি মুছে যেতে পারে?


৩০/০৮/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।