কতো যে পাগল বসবাস করে
      এই কবিতার দেশে,
হেসে কুটিকুটি, পেটে খিল ধরে,
      পাই না যে কুল হেসে।


দিবসেতে কেহ দেখে যে স্বপন,
      রাতে করে পায়চারি,
কেউ উড়ে যায় পাখির মতোন
      আকাশকুসুমচারী!


কেবা যে কখন কিবা কথা কহে
      বুঝি না যে আগামাথা,
লতার উপরে জড়ায় লতা সে
      পাতার উপরে পাতা।


হুসহাস যায়, হুশমুশ নাই
      পাগলের কারখানা!
সবে কি পাগল? নাচে বুঝি তাই
      খুশি হয়ে আটখানা।


মনের ভেতরে যাহা কিছু আসে
      না ভেবেই বলি সব,
কখনো মধুর, কভু কটু ভাষে
     দ্বন্দ্বের কলরব।


জিহ্বাকে তুমি করো সংযত
      শান্তি লভিতে কাজে,
নিজে বড়ো হবে, হলে অবনত
      এই সংসার মাঝে।


আপনারে যিনি ভাবে বড়ো ভবে
      সে যে কভু বড়ো নয়,
বড়ো হতে হলে ছোট হতে হবে,
     অধম কবীরে কয়।


০৬/০৩/২০২০
মিরপুর ঢাকা।