আয় হে বন্ধু! আমাদের মাঝে সকল দুঃখ ফেলে,
বিষাদের ঝরা পাতাগুলো সব উত্তরি বায়ে ঢেলে।
মনের বেদনা পুষিয়া রাখিলে মনের ভেতর ওরে,
বেদনার মূল শক্ত হইয়া বাঁধিয়া ফেলিবে তোরে।


তোরই হৃদের ভেতরে আছে যে আগুনের ঝলকানি,
পোড়াবে সকল অসত্য ধারা শুভ্রতা টেনে আনি।
'পাছে লোকে বলে' কতো কথা জেনো স্বার্থ-কথার ছলে,
তাই বলে কভু বীর সৈনিক পিছনের পথে চলে?


সামনে তোরই বিশাল আকাশ হাতছানি দিয়ে ডাকে,
আঁধারে থাকিয়া বড় করিস না ছোট অভিমানটাকে।
ক্ষোভের অনল পোড়ায় সকল সুন্দরতাকে জানিস-
অসুন্দরকে গলা টিপে মেরে সরলতা টেনে আনিস।


আয় আয় আয় শারদ সন্ধ্যা আকাশে উড়ুনি তুলি',
বেতস ফলের নয়ন মেলিয়া খুঁজিতেছে কাঁশগুলি।
দূরের আকাশ ক্রমশঃ আঁধার ঘনিয়াছে রাত ওই,
প্রাণ-মন্দিরে প্রাণ খোলা হাসি, বলো হে পাইবো কই?


শত অভিমান, ক্ষোভ, রাগ হৃদের ঝারিয়া ফেলে আয়-
দুর্বিনীত দুর্মদ যতো মানুষের ভালোবাসায়।
তোর চলা-পথে পুষ্প ছড়াবো অনাগত সব দিন,
আনন্দধারা বহিবে বন্ধু, হয়ে যাবো অমলিন।